স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে বীমা অফিস খুলে দেয়া যেতে পারে
এস এম নুরুজ্জামান: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হতে জনসাধারণকে রক্ষাকল্পে সরকার ২৬ মার্চ হতে পর্যায়ক্রমে আগামী ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ছুটি চলাকালে বীমা কোম্পানিগুলোর অনলাইন সেবা চালু রয়েছে। গ্রাহকগণ তাদের মূল্যবান পলিসির প্রিমিয়াম ঘরে বসেই বিকাশ, রকেট অথবা যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে জমা করতে পারছেন।
তবে উন্নয়ন কর্মকর্তাদের কমিশন প্রদান করা, গ্রাহকের এসবি (সারভাইভাল বেনিফিট) প্রদান, যেকোন দাবি পরিশোধ করার জন্য বীমা অফিস খুলে দেয়া প্রয়োজন। এ্যাপস ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গ্রাহক তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন।
পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের পরিবার এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জীবন রক্ষা বীমার মাধ্যমে করতে পারি। এতে কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকা সম্ভব হবে। এই মহামারির সময়ে আরও বাধা এড়ানোর জন্য আইএলও কিছু সুপারিশ করেছে সেগুলো হলো:
১. সব কাজের ক্ষেত্রে বিপদ নির্ধারণ করা। সংক্রমণের ঝুঁকিগুলো নির্ধারণ করা এবং কাজে ফিরে আসার পরও সেগুলো নির্ধারণ অব্যাহত রাখা।
২. প্রতিটি খাত ও প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টতার সঙ্গে অভিযোজিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে: শ্রমিক, ঠিকাদার, গ্রাহকের মধ্যে কাজের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, কর্মক্ষেত্রে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিয়মিত মেঝে পরিষ্কার করা, পুরো কর্মস্থল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা, হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজেশনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সরবরাহ করা।
৩. যেখানে প্রয়োজন সেখানে বিনামূল্যে কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা।
৪. কারও মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে তাকে পৃথক করা এবং কার কার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা।
৫. কর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান।
৬. সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন এবং কর্মক্ষেত্রে পিপিইর ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও তথ্য উপাদান সরবরাহ করতে হবে।
এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে বীমার অফিস খুলে দিতে পারে ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী। আগামী ৫ তারিখ পর অথবা আগে অফিস খুলে দিলে বীমা কর্মীদের ও গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ করতে সহজ হবে।
তীব্র প্রতিযোগিতা ও নানাবিধ কারনে বীমাখাত এমনিতেই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো। এখন ছুটি দীর্ঘায়িত হলে তা আরো সংকটে পতিত হবে। এই বিষয়ে আইডিআরএ ও বিআইএ ভূমিকা নিতে পারেন।
লেখক: মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।