বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা বাস্তবায়নে তথ্য সংগ্রহ করছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা বাস্তবায়নে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এর শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে সরকার। গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেশের সকল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবসে এই বীমা পরিকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহে টেলিফোনে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশের আলোকে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বাছাই করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর তথ্য আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার মধ্যে নির্ধারিত ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাম-ঠিকানাসহ শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম তারিখ, শ্রেণী, পিতা বা অভিভাবেকের নাম, পিতা বা অভিভাবেকের জন্ম তারিখ, পিতা বা অভিভাবেকের মোবাইল নম্বর, শিক্ষার্থীর পিতা বা অভিভাবেকের ব্যাংক হিসাব নম্বর (যদি থাকে) ব্যাংক ও শাখার নামসহ এবং শিক্ষার্থীর বর্তমান ঠিকানা এতে উল্লেখ করতে হবে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনীষা চাকমা।
এর আগে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, ছোট শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে চালু করা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা’ । কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে আগামী ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবসে এর উদ্বোধন করা হবে। প্রথম দুই বছর এটি পাইলট প্রকল্প আকারে পরিচালনা করা হবে।
ড. এম মোশাররফ হোসেন জানান, ৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিশুর জন্য এই বীমা চালু করা হচ্ছে। শিশুদের জন্য তাদের আভিভাবকরা এই বীমা কিনতে পারবেন। এজন্য বার্ষিক প্রিমিয়াম দিতে হবে ৮৫ টাকা। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা পলিসি গ্রহণের পর কোন অভিভাবক মারা গেলে ওই শিশু ১৭ বছর পর্যন্ত মাসে ৫০০ টাকা করে বীমা দাবি পাবে।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। বীমা পেশায় তার যোগদানের দিনটিকে স্মরণে রাখতে সরকার ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০২০ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবস উদ্বোধন করা হয়।