প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: কর্মজীবনে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। প্রশিক্ষণ একটি অত্যন্ত শক্তিশালী মোক্ষম অস্ত্র যা মানবসম্পদ উন্নয়নে এক বিশেষ এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠানেই প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বা পেশাগত শিক্ষার পাশাপাশি সুষ্ঠু প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা দক্ষ এবং ভালো কারিগর তৈরিতে যথেষ্ট সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে।

বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ যেমন- পেশাগত দক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা ইত্যাদি বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়।

একথা সত্যি যে, অতীতের তুলনায় বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য অধিকতর প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মচারী সম্বলিত প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণহীন এবং অদক্ষ কর্মচারী সম্মিলিত প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ব্যবসা এবং সকল দিক থেকে এগিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

প্রশিক্ষণ সাধারণত কর্মচারীকে ‘তৈরী হাত’ হিসেবে উন্নীত করতে সাহায্য করে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রশিক্ষণের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা এবং এই খাতে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা। সেইসাথে কর্মচারীদের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তথা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।

বর্তমানে ব্যবসা পরিবেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যাবসায়িক সফলতা অর্জন সহজসাধ্য ব্যাপার নয়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই অগ্রণী এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের উৎসাহ এবং সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা ব্যতীত এ ব্যাপারে অগ্রগতি সম্ভব নয়।

কোন প্রতিষ্ঠান কতটা শক্তিশালী সেটা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং দক্ষ জনবলের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ এবং সময় ব্যয় করা মোটেও অপচয় নয় বরং এটিকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে, যা পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে।

প্রশিক্ষণকে কোনভাবেই হেয় প্রতিপন্ন বা ছোট করে দেখার সুযোগ বা অবকাশ নাই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এ কথা অবশ্যই মনে রাখা প্রয়োজন যে, উন্নতর ব্যবসার জন্য প্রশিক্ষণের কোন সহজ বা বিকল্প ব্যবস্থা নাই।