বীমা কর্তৃপক্ষের কতিপয় হটকারী সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কর্তৃক প্রবর্তিত কতিপয় হটকারী সিদ্ধান্ত তাদের অসুস্থ চিন্তার প্রতিফলন বহন করে।
এর মধ্যে একটি নিয়ম হচ্ছে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ সংক্রান্ত এবং অপরটি হচ্ছে কোম্পানির পরামর্শদাতা নিয়োগ সংক্রান্ত।
প্রথম নিয়মটির কথা ধর যাক। এই নিয়ম অনুযায়ী মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদের জন্য যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার শর্ত পালন সাপেক্ষে ন্যূনতম তিন বছর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পূর্বপদে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।
এই নিয়মটি প্রবর্তনের পিছনে কতটুকু যুক্তি বা সার্থকতা আছে তা পর্যালোচনা করে দেখা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ বীমা খাতে পেশাদারী এবং দক্ষ জনবলের প্রচণ্ড অভাব এবং সংকট রয়েছে।
বীমা খাতে কর্মরত কেবল স্বল্প সংখ্যক ব্যক্তি বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত। এই অযৌক্তিক অস্বাভাবিক নিয়মের কারণে বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদের জন্য আবেদন করতে অসমর্থ। এই ব্যাপারে তাদের মধ্যে এক প্রকার চরম হতাশা বিরাজমান।
এখন দ্বিতীয় নিয়মটির কথায় আসা যাক। এই নিয়ম অনুযায়ী বীমা কোম্পানির পরামর্শক বা পরামর্শ দাতা হওয়ার জন্য কেবলমাত্র বীমা কোম্পানির ভূতপূর্ব মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা (সচিব) আবেদন বা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা রাখে।
তখন স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে এই পদের জন্য বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত বীমা বিশেষজ্ঞদের কোন যুক্তিতে যোগ্যতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে উপরে বর্ণিত উভয় নিয়ম বা সিদ্ধান্ত বীমা খাতের স্বার্থের পরিপন্থী।
আশা করি বীমা কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলির গুরুত্ব আমলে নিয়ে এগুলো বিশেষভাবে পর্যালোচনা করে দেখবে এবং বীমা খাতের বৃহত্তর স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।