বীমা খাতে শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: জীবনের সকল ক্ষেত্রে শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। বীমা খাত তার ব্যতিক্রম নয়। শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য যে সকল গুণাবলী আবশ্যক তা হচ্ছে- চারিত্রিক দৃঢ়তা, সততা, শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা ইত্যাদি।
বীমা খাতের বর্তমান অবস্থার জন্য দুর্বল নেতৃত্বকে অনেকাংশে দায়ী করা যেতে পারে। পেশাগত বা করপোরেট জগতে দুর্বল নেতৃত্বের কোন স্থান নেই। সবাইকে খুশি করার প্রবণতা এক মারাত্মক ধরনের ব্যাধী।
বীমা খাতের বৃহত্তর স্বার্থে প্রয়োজনে কঠিন এবং অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। কোন বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না।
ইংরেজীতে একটা কথা আছে ‘First deserve, then desire’ অথচ আমাদের মাঝে অধিকাংশ লোক বিশ্বাস করে ‘First desire, then deserve’।
সভা সেমিনারে বক্তারা বীমা খাতে পরিবর্তন আনতে হবে বলে জোর গলায় ভাষণ দিয়ে থাকেন। অথচ কেউ কি জানে সেটা কিভাবে সম্ভব?
বীমা খাতে দুর্নীতি এবং অনিয়ম এক প্রকার সংক্রামক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার, গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ ইত্যাদি বীমা খাতের উন্নতিতে এক বিশাল বাধা সৃষ্টি করেছে।
বীমা খাতে সংস্কার বা পরিবর্তন আনতে হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে এবং দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বীমা খাতে শীর্ষস্থানীয় দুটি জীবন বীমা কোম্পানির দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র ইদানিংকালে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা বীমা খাতের অবক্ষয়ের প্রতিফলন বহন করে।
এ ব্যাপারে বীমা উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দুর্বল নেতৃত্ব এবং ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করা যেতে পারে।
বীমা খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে এই সংস্থাটিকে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে নতুন করে সাজাতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই।