আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: গত ২৬ মে এই পত্রিকায় ‘আইডিআরএ চেয়ারম্যানের একাউন্টে ৪ বছরে জমা ৪০ কোটি টাকা’ শীর্ষক একটি চাঞ্চল্যকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে একই পত্রিকায় ২৩ মে ‘ডেল্টা লাইফের মাস্ক ক্রয়ে জালিয়াতির মামলা: সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা কারাগারে’ শীর্ষক আরও একটি খবর বেরিয়েছে।
দু’টি সংবাদই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং কলঙ্কজনক ব্যাপার।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সৃষ্টি হয়েছে বীমা খাতে অনিয়ম এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য।
কিন্তু দুর্নীতি রোধের পরিবর্তে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ যদি নিজেরাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরে তবে বীমা খাতের ভবিষ্যৎ কী?
দুঃখজনকভাবে ‘রক্ষক যখন ভক্ষক হয়’ তখন অবস্থাটা সহজেই অনুমান করা যায়।
বীমা খাতের বর্তমান নৈরাজ্যজনক অবস্থার জন্য অনেকাংশেই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যেতে পারে। অতীতেও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনেকেই সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচারের অভাবে দুর্নীতি করেও পার পেয়ে গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত বর্তমান এবং অতীতের আইডিআরএ সদস্যের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে না পারে।