ফিলিপাইনের সাধারণ বীমা বাজারের মূল্য ২০২৯ সালের মধ্যে কত হবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিপাইনের সাধারণ বীমা খাত দৃশ্যমানভাবে প্রসার পাচ্ছে। গ্লোবালডেটার প্রতিবেদন বলছে, ২০২৫ সালে মোট লিখিত প্রিমিয়াম (জিডব্লিউপি) ২.৭ বিলিয়ন ডলার থেকে বার্ষিক গড়ে ১০.৬% হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৯ সালে ৩.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বর্তমান বীমা প্রবেশ হার ১.৯%- এর নিচে থাকায় এ খাতের বিস্তার ও গ্রাহকভিত্তি দুটোই দ্রুত বাড়ার সুযোগ রয়েছে।

ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও টাইফুন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দ্রুত গ্রহণ, প্যারামেট্রিক পলিসির উত্থান এবং মাইক্রোইন্স্যুরেন্সের প্রসার- সব কিছু মিলিয়ে চাহিদা বাড়ছে। সরকারি উদ্যোগ যেমন ফিলিপাইন ক্রপ ইন্স্যুরেন্স করপোরেশনের (পিসিআইসি) স্যাটেলাইট ম্যাপিং ব্যবহার করে দ্রুত দাবি নিষ্পত্তি, সম্পত্তি বীমার বৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

দেশটির সাধারণ বীমা বাজারের মধ্যে সম্পত্তি ৩৯.৫%; মোটর ২৩.৫%; মেরিন, এভিয়েশন ও ট্রানজিট ৭.৯%; আর বাকিগুলো (ফাইনান্সিয়াল, লায়াবিলিটি এবং মিশ্র) ২৯.২%। কিউ১ ২০২৫-এ আমদানি ৮.৪% এবং রপ্তানি ৫.৭% বেড়ে মেরিন বীমাকে সমর্থন দিচ্ছে।

বাজারে ক্যাটাস্ট্রোফি প্রোটেকশন গ্যাপ প্রায় ৯৮%। যার বৈশ্বিক গড় ৫৮% এর তুলনায় উল্লেখযোগ্য দুর্বলতা। প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষতি, পুনঃবীমা-সংক্রান্ত চাপ ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতির চালচলন (যেমন প্রত্যাশিত আন্তর্জাতিক শুল্কনীতি) লাভজনকতাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

প্যারামেট্রিক পণ্য দ্রুত ছাড়ানো, ডিজিটাল বিতরণ ও ছাড়ানো চ্যানেল শক্ত করা, মাইক্রোইন্স্যুরেন্সে লক্ষ্যমুখী প্রচার এবং ঝুঁকি-ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ ও রিস্ক পুলিং বাধ্যতামূলক করতে রেগুলেটরি সমর্থন জরুরি।

সরকারি নীতিসমর্থন ও প্রযুক্তি গ্রহণ সঠিকভাবে হলে ফিলিপাইনের সাধারণ বীমা বাজার ২০২৯ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আকারে বৃদ্ধি পাবে। তবে স্থিতিশীল লাভ ও সম্মিলিত সুরক্ষার জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া অপরিহার্য। (ইন্স্যুরেন্স এশিয়া)