বিধিবহির্ভূত বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগ, আইডিআরএ চেয়ারম্যানকে দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘গৃহায়ন ধানমন্ডি’ প্রকল্পের আওতায় বিধিবহির্ভূতভাবে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলমকে তলব করেছে দুদক।

আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র প্রধান কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।

দুদক বলছে, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ‘গৃহায়ণ ধানমন্ডি (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় নীতিমালা ভেঙে উচ্চ মূল্যের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১৩ নম্বর (নতুন ৬/এ) সড়কের ৭১১ নম্বর (নতুন ৬৩) প্লটে নির্মিত ১৪ তলা ভবনে মোট ১৮টি ফ্ল্যাট ছিল।

এর মধ্যে ৬০ শতাংশ (১২টি) সরকারি ও ৪০ শতাংশ (৬টি) বেসরকারি কোটায় বরাদ্দ হওয়ার কথা থাকলেও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়। এই সুবিধাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম।

এ ছাড়াও সরকারের সচিব পদমর্যাদার আরো ১১ কর্মকর্তাকে এই সুবিধা নেয়ার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযুক্ত অপর কর্মকর্তারা হলেন- দুদকের সাবেক দুই কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও মো. জহুরুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার, সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ, সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান;

সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ, সাবেক রেজিষ্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, সাবেক সচিব মো. আনিছুর রহমান এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক।

আগামী ১৭, ১৮ ও ২১ সেপ্টেম্বর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযোগের বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা অনুসন্ধান দলের রুটিন কাজ। বিস্তারিত জানতে ধারাবাহিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে আইডিআরএ’র পরামর্শক (মিডিয়া এবং যোগাযোগ) ও মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে বলেন, মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলমকে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে তলব করা হযেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি (ড. এম আসলাম আলম) বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। তার (ড. এম আসলাম আলম) জানা মতে, তিনি নিয়ম বহির্ভুত কোন কাজ করেননি এবং অবৈধ কোন সুবিধা গ্রহণ করেননি।