এসিআইআইদের সরাসরি মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: জানামতে প্রায় দুই ডজনের মত এসিআইআই বীমাখাতে কর্মরত আছে। এদের মধ্যে ৪-৫ জন বিভিন্ন বীমা কোম্পানিতে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে নিয়োজিত আছে।

বীমা উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী কোন বীমা কর্মচারী মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদের জন্য আবেদন করার পূর্বে এই পদের অব্যবহিত পূর্বের পদে কমপক্ষে তিন বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে।

এ ব্যাপারে বেশ কয়েকজন এসিআইআই এর সাথে লেখকের মতবিনিময় করার সুযোগ হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বর্তমান নিয়ম কতদূর যুক্তিসংগত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

তারা প্রত্যেকেই যে যুক্তির অবতারণা করেছে তা হচ্ছে, ধরা যাক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদের জন্য দুইজন প্রার্থী। দুই জনেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা সমান অর্থাৎ মাস্টার্স ডিগ্রিধারী। দু’জনেই চাকরির অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের শর্ত সমানভাবে পূরণ করে। কিন্তু দু’জন প্রার্থীর মধ্যে একজন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি সম্পন্ন এবং স্বীকৃত দি চাটার্ড ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট লন্ডন থেকে এসিআইআই ডিগ্রিধারী।

তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে বর্তমান নিয়মানুযায়ী এসিআইআই ডিগ্রিধারীদের কি অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে না?

প্রাসঙ্গিকভাবে এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বিহির্বিশ্বে বীমা ম্যানেজারের চাকরির জন্য পত্র পত্রিকায় যে সমস্ত বিজ্ঞাপন দেয়া হয় সেখানে এই পদের জন্য আবেদনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে আবেদনকারীর অবশ্যই এসিআইআই ডিগ্রিসহ নূন্যতম পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

এক পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা যায়, বীমাখাতে কতিপয় বীমা কোম্পানি সুদীর্ঘ সময় ধরে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী জায়গায় অবস্থান করছে।

এই সমস্ত কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে বর্তমানে এবং অতীতে এসিআইআই (প্রফেশনাল ডিগ্রি প্রাপ্ত) নিয়োগ এই সফলতার একটি অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

আশা করি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বীমাখাতে দক্ষ এবং বীমা ডিগ্রিধারীদের স্বল্পতা (Acute Shortage) চিন্তা করে বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করে দেখবে।