মৎস্য খাতে জলবায়ু ঝুঁকি বীমা চালুর আহবান জানালেন বিশেষজ্ঞরা
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: মৎস্য খাতে জলবায়ু ঝুঁকি বীমা চালু করার আহবান জানিয়েছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। এমন এক সময়ে তারা এই আহবান জানালেন যখন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু-জনিত আবহাওয়ার অনিশ্চয়তার কারণে হাজার হাজার জেলে পরিবারের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৎস্য খাতে বীমার পেনিট্রেশন এখনও কম, বিশেষ করে মৎস আহরণের ক্ষেত্রে। তাদের মতে, জেলে পরিবারের জীবন ও সম্পত্তির প্রাকৃতিক ঝুঁকি মোকাবেলার বিকল্প হতে পারে জলবায়ু ঝুঁকি বীমা। এক্ষেত্রে জলবায়ু ঝুঁকি প্রশমন ত্বরান্বিত করতে প্যারামেট্রিক বীমা একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে।
‘ইনসুলেটিং মেরিন ফিসারিজ সেক্টর ইন সাউথ এশিয়া ফ্রম আনসার্টেইনিটিস: গ্লোবাল এক্সপেরিয়েন্সেস উইথ ইন্স্যুরেন্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, আবহাওয়া এবং সমুদ্র পর্যবেক্ষণ মডেলের উপর ভিত্তি করে সীমিত ডাটা নিয়েও প্যারামেট্রিক বীমা পরিকল্পগুলো তৈরি করা যেতে পারে।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সহায়তায় যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বে অব বেঙ্গল প্রোগ্রাম ইন্টার-গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (বিওবিপি), সেন্ট্রাল মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএমএফআরআই) এবং তামিলনাড়ুর ডা. জে জয়ললিতা ফিশারিজ ইউনিভার্সিটি।
চেন্নাইতে অনুষ্ঠিত ১২তম ভারতীয় মৎস্য ও জলজ কৃষি ফোরামের একটি সাইড ইভেন্ট হিসেবে সম্প্রতি এ সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো একটি অফিসিয়াল রিলিজ’র বরাত দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘ডেভডিসকোর্স’ ।
আন্তর্জাতিক এই সিম্পোজিয়ামে জলবায়ু ঝুঁকি বীমা পরিকল্পগুলো জনপ্রিয় করার জন্য প্রাথমিকভাবে বীমা প্রিমিয়ামে ভর্তুকি দেয়ার আহবান জানানো হয়, যদিও দীর্ঘমেয়াদে এই জাতীয় বীমা পরিকল্পগুলো ছোট আকারের জেলে এবং কৃষকদের কাছে সাশ্রয়ী হওয়া বাঞ্ছনীয়।
সিম্পোজিয়ামে এটাও সুপারিশ করা হয় যে, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় ক্ষুদ্র বীমা একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে। কারণ বীমা কোম্পানি এবং জেলেদের মধ্যে এখনও কার্যকর যোগসূত্র তৈরি করা হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ঝুঁকি মডেলিং এবং পূর্বাভাস সহ প্রযুক্তিগত সমাধানগুলোর পাশাপাশি আইনী সহায়তারও প্রয়োজন হবে। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের উপযুক্ত বীমা পণ্য বিবেচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রণোদনা তৈরি করতে এগুলোর প্রয়োজন হবে।