গ্যাস সিলিন্ডার কিনলে ৫০ লাখ টাকার বীমা সুবিধা ভারতে
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: গ্যাস সিলিন্ডার কিনলে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বীমা সুবিধা দিচ্ছে ভারতের পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলো। উজ্জ্বল প্রকল্প নামে সরকারের নেয়া ঘরে ঘরে এলপিজি সিলিন্ডার পৌঁছে দেয়ার উদ্দ্যোগ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলো এই বীমা সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বাংলা হান্ট এ খবর দিয়েছে।
সরকারি ওয়েবসাইট অনুসারে, এলপিজি সংযোগ নেয়ার সাথে সাথে গ্রাহকের প্রাপ্ত সিলিন্ডার যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তবে সেই ব্যক্তি ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বীমা সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ওই দুর্ঘটনায় প্রত্যেক আহত ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কারো মৃত্যু হলে পার্সোনাল এক্সিডেন্ট কভার হিসেবে প্রতি ব্যক্তি ৬ লাখ টাকার ক্লেইম করতে পারবেন। প্রতিটি দুর্ঘটনার জন্য চিকিৎসা খরচ হিসেবে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা, যার মধ্যে প্রত্যেক আহত ব্যক্তি ২ লাখ টাকা করে বীমা সুবিধা পাবেন।
দুর্ঘটনায় জন্য বীমা সুবিধা দিতে ভারতের পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলো গ্রাহকের কাছে কোন প্রিমিয়াম নিচ্ছে না। যা পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলো এলপিজি সংযোগ নেয়ার সাথে গ্রাহকদের পার্সোনাল এক্সিডেন্ট কভার প্রদান করে এবং বীমা কোম্পানির কাছে প্রিমিয়াম পরিশোধ করে।
ভারতের পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তাদের গ্যাস সিলিন্ডার ডেলিভারির সময়ে গ্রাহককেও সতর্ক থাকতে এবং ডেলিভারি নেয়ার সময় সিলিন্ডারটি ঠিক আছে কিনা সেটিও পরীক্ষা করে নিতে হবে। গ্রাহকের বাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার দুর্ঘটনার কারণে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতির ক্ষেত্রে পার্সোনাল এক্সিডেন্ট কভার দেয়া হয়।
দুর্ঘটনায় গ্রাহকের সম্পত্তি বা বাড়ির ক্ষতি হলে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বীমা দাবি করতে পারবে গ্রাহকেরা। এলপিজি সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে দুর্ঘটনার পরে ক্লেইম করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদ্ধতিটি myLPG.in সরকারি ওয়েবসাইটে দেয়া রয়েছে।
ভারতের পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এলপিজি সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে বা গ্যাস লিকের জন্য জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি হলে প্রথমে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন এবং এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরকে জানাতে হবে। এরপর দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করবে সেই এলাকার সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অফিস। এলপিজি সিলিন্ডারের কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে ডিস্ট্রিবিউটর বা এরিয়া অফিস তা বীমা কোম্পানিকে জানাবে।
তদন্তের রিপোর্ট দেখার পর কোম্পানিতে একটি ক্লেইম ফাইল করা হবে। যার জন্য গ্রাহককে সরাসরি বীমা কোম্পানির সাথে আবেদন বা যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। সবশেষে এফআইআরের একটি কপি, আহতদের চিকিৎসার বিলের কপি, মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ডেথ সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে বীমার টাকা পেতে।