নেপাল বিমান দুর্ঘটনা: ক্ষতি নিরূপনে ঘটনাস্থলে বীমার জরিপকারীরা

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: নেপালের পোখারায় ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় বীমা কোম্পানিগুলো তাদের জরিপকারী দল পাঠিয়েছে ঘটনাস্থলে। বীমা কোম্পানির কর্মকর্তা, জরিপকারী ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত এসব জরিপকারী দল ক্ষতিগ্রস্থ সম্পত্তি এবং দায়বদ্ধতার পরিমাণ মূল্যায়ন করছে বলে জানিয়েছে নেপাল ইন্স্যুরেন্স অথরিটি (এনআইএ) ।
দেশটির বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনআইএ’র মুখপাত্র রাজু রমন পাউডেল বলেছেন, একটি ব্রিটিশ ইন্স্যুরেন্স ব্রোকার বা বীমা দালাল সিঙ্গাপুর থেকে কয়েকজন বীমা জরিপকারীকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। পাউডেল আরও বলেন, দুর্ঘটনায় যাত্রীদের জন্য বীমা দাবি পরিশোধে কোনও সমস্যা আশা করছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনআইএ।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিয়মে বলা হয়েছে, বিমানের মাধ্যমে ভ্রমণকারী প্রতিটি যাত্রী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত বীমা কাভারেজের আওতায় থাকবেন। তবে বীমা কাভারেজের পরিমাণ ক্রু সদস্যদের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে।
নেপালের ন্যাশনাল রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এক্সিকিউটিভ কমিটি দেশটির বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনআইএ’কে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে বীমা দাবি প্রদানের তদারকি ও সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পাউডেল। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী পরিষদের কার্যালয়ও বীমা দাবির দ্রুত সমাধানের জন্য তাগিদ দিচ্ছেন।
নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ বিমানটি ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু নিয়ে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কাঠমান্ডু থেকে পোখারা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে উড়ে যায়। তবে পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পুরনো বিমানবন্দর ও নতুন বিমানবন্দরের মাঝে সেতি নদীর তীরে এটি ভেঙে পড়ে।
এই দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা যাত্রী ও ক্রদের একজনকেও জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। ৪ ক্রুসহ বিমানের ৭২ জন আরোহীর মধ্যে ৫৩ জন ছিলেন নেপালের, পাঁচ জন ভারতীয়, চার জন রাশিয়ান এবং দুই জন কোরিয়ান। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন ওই বিমানটিতে।
উল্লেখ্য, ইয়েতি এয়ারলাইন্স প্রাইভেট লিমিটেড নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত একটি বিমান সংস্থা। এয়ারলাইনটি ১৯৯৮ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠিত এবং এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট লাভ করে ১৯৯৮ সালের ১৭ আগস্ট। ২০১৯ সাল থেকে নেপাল এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কার্বন নিরপেক্ষ বিমান সংস্থা ইয়েতি এয়ারলাইনস। (সূত্র: আইবি)

 (1).gif)



 
                 
                    .jpg) 
                             
                             
                             
                             
                            