৮৯৪ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে মহারাষ্ট্রের চাষীরা

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: শস্য বীমার বিপরীতে ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে মহারাষ্ট্রের চাষীরা। ২০১৫-১৬ রবি মৌসুমে শিলাবৃষ্টি ও অসময়ে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ লাখ ৮৮ হাজার কৃষক এ অর্থ পাবে। এরইমধ্যে ভারতের এই রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণের অর্থ ছাড় দিয়েছে।

মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ লাখ চাষীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪০২ কোটি রুপি। এছাড়া আওরঙ্গবাদ ও পুনের কৃষকরা যথাক্রমে ৩৪০ কোটি ৫৭ লাখ ও ১০৭ কোটি ৩৬ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ পাবে। মারাঠাওয়াড়া জেলার কৃষকরা বৃষ্টির কারণে সয়াবিন ও অন্যান্য ফসলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০১৫-১৬ রবি মৌসুমে রাজ্যের ৩৪ লাখ ২৬ হাজার চাষী জাতীয় কৃষি বীমা প্রকল্পে অংশ গ্রহণ করে। এজন্য তাদেরকে বীমা অংকের প্রায় ২০ শতাংশ অর্থ প্রদান করতে হয়েছে। বাকী অর্থের দায় বহন করেছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৪০ লাখ রুপির বীমা কভারেজ গ্রহণে ২৪ লাখ ৬০ হাজার কৃষক প্রদান করেছে ৫৬ কোটি ৯১ লাখ রুপি।

কৃষি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সালের মার্চ-এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে শস্যের ক্ষতির জন্য ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ রুপি বীমার অর্থ ছাড় দেয়া হয়েছে। ২০১৫-১৬’তে খড়ার কারণে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়েছে। তবে বীমার বিপরীতে আমরা অভূতপূর্ব ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। বিগত এক বছর সন্তোষজনক বীমা দাবি নিষ্পত্তির কারণে চলতি বছরে আমরা প্রধানমন্ত্রী শস্য বীমা পরিকল্পে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি।

শস্য বীমার প্রিমিয়ামে চাষীদের অংশগ্রহণ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার ৪০৮ কোটি ৯২ লাখ রুপির বোঝা বহন করেছে। বীমা কভারেজ প্রদানের জন্য সরকার এগ্রিকালচার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড’কে নিযুক্ত করেছে। কোম্পানিটি কৃষকদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বীমার অর্থ প্রদান কারবে।

পরপর তিন বছর ধরে খরার পরিপ্রেক্ষিত সরকার শস্য বীমা জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে নভেম্বরে খরিপ ফসল লোকসানের কারণে ৪ হাজার ২০৫ কোটি রুপি ক্ষতিপূর দিয়েছে রাজ্য। সয়াবিন, জোয়ার, সূর্যমুখী, গম, পেঁয়াজ, ধান ইত্যাদি ফসলও শস্য বীমার দ্বারা কভারেজ প্রদান করা হয়েছে। (সূত্র: এইচটি)