পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণ করেনি ১৬ নন-লাইফ কোম্পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণ করেনি দেশের বেসরকারি ১৬টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানি। বীমা আইন ২০১০ এর ২১ ধারার বিধান এবং তফসিল-১ মোতাবেক পরিশোধিত মূলধন সর্বনিম্ন ৪০ কোটি টাকা থাকা বাধ্যতামূলক। কেন এ শর্ত পূরণ করা হয়নি তার ব্যাখ্যা চেয়ে সম্প্রতি কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করতে এ সপ্তাহে আবারো বৈঠকে বসবে কর্তৃপক্ষ।
আইডিআরএ’র তথ্য অনুসারে, পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণ না করা কোম্পানিগুলো হলো- প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, সিকদার ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বিডি, জনতা ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স।
বীমা কোম্পানিগুলো কর্তৃক আইডিআরএ প্রদত্ত ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকের পরিসংখ্যান অনুসারে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সে ৩৫ কোটি ২ লাখ টাকা, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে ২৪ কোটি টাকা, সিকদার ইন্স্যুরেন্সে ২৪ কোটি টাকা, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সে ৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সে ৬ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
এ ছাড়াও তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সে ৩৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সে ৩৫ কোটি ৩ লাখ টাকা, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সে ২৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বিডিতে ৩৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, জনতা ইন্স্যুরেন্সে ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, নিটল ইন্স্যুরেন্সে ৩৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূলধন রয়েছে।
এ বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সদস্য ড. এম মোশারফ হোসেন, এফসিএ ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে বলেন, আমরা চাই সবাই পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পরিপালন করুক। এজন্যই আমরা কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছি।
এ সপ্তাহেই আমরা বিষয়টি নিয়ে ফলোআপে যাব। সেখানে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। যাদের আইপিও’তে যাওয়ার কথা তাদের প্রতিদিন নির্ধারিত হারে জরিমানা তো হচ্ছেই। তবে জরিমানা নিয়েই আমরা ক্ষ্যান্ত নই। আমরা চাই সবাই আইনটা মেনে চলুক।