দেশজুড়ে উন্নয়ন মেলায় বীমাখাতের অংশগ্রহণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় অনুষ্ঠিত ৩ দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলায় সরকারি-বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোও অংশ নিয়েছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)'র নির্দেশনায় বীমা কোম্পানিগুলোর স্থানীয় কর্মকর্তা ও কর্মীরা এতে অংশ নেন।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ এ শ্লোগান সামনে রেখে আয়োজিত এবারের উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তিনি এ মেলার উদ্বোধন করেন। ৪, ৫ ও ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় এবারের উন্নয়ন মেলা।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এবারের উন্নয়ন মেলায় ৩৩০টি স্টল স্থাপন করা হয়। আইডিআরএ ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০টি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ১৯টি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৬টি, কৃষি মন্ত্রণালয় ১৬টি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১০টি এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ৯টি স্টলে কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করে।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, সদস্য গকুল চাঁদ দাস, সদস্য ড. এম মোশারফ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক ড. শেখ মহঃ রেজাউল ইসলাম, পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) ফারুক আহম্মেদ, পরিচালক (উপ-সচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মাদ মোর্শেদুল মুসলিম প্রমুখ এ মেলায় উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও বরিশাল, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিং ও খুলায় আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’র কর্মকর্তারা অংশ নেন। উন্নয়ন মেলায় বীমাখাতের কর্মকাণ্ড ও এর প্রয়োজনীয় তুলে ধরা হয়। বীমা সম্পর্কে গ্রাহক সচেতনতা বাড়াতে বীমার সহজপাঠ নামে একটি প্রচারপত্র বিলি করে আইডিআরএ।
মেলা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের পরিচালক (উপ-সচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, আইডিআরএ’র বর্তমান কার্যক্রম ছাড়াও এ খাতের সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয় এবারের মেলায়। দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ এ খাতকে আমরা ভবিষ্যতে কোন অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই সেটাও জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
আইডিআরএ’র বর্তমান টিমের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বীমাখাত সম্পর্কে মানুষের যে নেতিবাচক ধারণা ছিল সেটা এখন দূর হচ্ছে। বর্তমানে জেলায় জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি পরিশোধ করা হয়। প্রতি মাসে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কর্তৃপক্ষের সমন্বয় সভা হচ্ছে। সেখানে তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যা বীমাখাতে ইতিবাচক ধারা বয়ে আনছে।
বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ছে উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মাদ মোর্শেদুল মুসলিম বলেন, একসময় মানুষ জানতো না কার কাছে অভিযোগ করতে হবে। বীমা মেলা ও উন্নয়ন মেলা আয়োজনের পর মানুষ সেটা জানতে পারছে। এখন মানুষ যেকোন অভিযোগ নিয়ে আইডিআরএ’র কাছে আসছে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকারের অর্জনে বীমাখাতের অবদান কতটুকু আমরা সেটা মেলায় তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বর্তমানে বীমাখাতের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরো উন্নতি সাধন হবে। কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ বর্তমান টিম এ লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।