নেপাল বিমান দুর্ঘটনা: বীমা দাবির টাকা পেল আরো ৮ পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত আরো ৮ যাত্রীর পরিবারের কাছে বীমা দাবির অর্থ হস্তান্তর করেছে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানি সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব চেক হস্তান্তর করা হয়। এরআগে গত আগস্টে প্রথম দফায় ৮ পরিবারের হাতে বীমা টাকা দেয়া হয়।

সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ও সেনাকল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ফিরোজ হাসান, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআএ)'র সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদ, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিক শামীম চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বীমা কোম্পানিটির সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিক শামীম জানান, বীমা অংক ও ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদার ভিত্তিতে প্রত্যেক নিহত যাত্রীর ক্ষেত্রে নূন্যতম ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়াও ব্যাগেজ’র জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছে আরো ৯৪৩ মার্কিন ডলার।

তবে আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ নিরূপিত হবে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। এরইমধ্যে আহত একজনের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে বলেও জানান সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের এই মূখ্য নির্বাহী।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিক শামীম বলেন, দু’দফায় ১৩ জন নিহত এবং ৩ জন আহত যাত্রীর পরিবারের কাছে বীমা দাবি বাবদ ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছি। আর দুর্ঘটনার ১ মাসের মধ্যেই ইউএস-বাংলার বিমানের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫৮ কোটি টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এর বিএস ২১১ ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পড়ে স্থানীয় সময় বেলা ২:১৮টায়। বিমানটিতে সর্বমোট আরোহী ছিলেন ৭১ জন। দুর্ঘটনায় ২৭ জন বাংলাদেশি, ২৩ জন নেপালি, ১ জন চীনাসহ মোট ৫১ জন নিহত হন। আহতদের মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি ও ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক।