জিডিপি’তে বীমাখাতের অবদান .৯৬% থেকে কমে এখন .৫৫%
আবদুর রহমান আবির: ২০১৩ সালে দেশে নতুন করে ১৬টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে বীমা ব্যবসার লাইসেন্স দেয় সরকার। অথচ দেশের বীমাখাতে কোম্পানির সংখ্যা বাড়লেও জিডিপি’তে বাড়েনি বীমাখাতের অবদান। উল্টো প্রতিবছরই কমেছে জিডিপি’তে বীমাখাতের অবদান।
তাছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জিডিপি’তে বীমাখাতের অবদান কখনই ১ শতাংশ বা তার ওপরে ওঠেনি। জিডিপি’তে দেশের বীমাখাতের অবদান সর্বোচ্চ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সর্বোচ্চ এই অবদান ছিল ২০১০ সালে। এর পরই থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে বীমাখাতের অবদান।
২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই ৮ বছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি’তে বীমাখাতের অবদান কমেছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। ২০১০ সালে জিডিপিতে দেশের ৭৮টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির অবদান ছিল দশমিক ৯৬ শতাংশ। যা কমে গিয়ে ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৫৫ শতাংশ।
২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসার দক্ষতার মূল্যয়ন শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আডিআরএ) । দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩২টি লাইফ ও ৪৬টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির দাখিলকৃত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালে জিডিপি’তে দেশের ৩২টি লাইফ বীমা কোম্পানির অবদান দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪০ শতাংশ। যা ২০১৪ সালে ছিল দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ৪৬টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ২০১৭ সালে জিডিপি’তে অবদান দাঁড়িয়েছে দশমিক ১৫ শতাংশ। যা ২০১৪ সালে ছিল দশমিক ২০ শতাংশ।
এর আগে ২০১৫ সালে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর অবদান ছিল দশমিক ৫০ শতাংশ এবং নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর অবদান ছিল দশমকি ১৭ শতাংশ। আর ২০১৬ সালে জিডিপি’তে অবদান ছিল লাইফ বীমাকারীদের দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং নন-লাইফ বীমাকারীদের দশমিক ১৫ শতাংশ।
এ ছাড়াও সামগ্রিকভাবে জিডিপি’তে বীমাখাতের অবদান ছিল ২০১১ সালে দশমিক ৮৯ শতাংশ, ২০১২ সালে দশমিক ৮৩ শতাংশ, ২০১৩ সালে দশমিক ৭৪ শতাংশ, ২০১৪ সালে দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০১৫ সালে দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ২০১৬ সালে দশমিক ৬৭ শতাংশ।