ফিরে দেখা ২০১৮

বীমাখাতে আলোচিত ১০ ঘটনা

আবদুর রহমান আবির: এসেছে নতুন বছর। বিদায়  নিয়েছে পুরনো বছর। তবে বেশ কয়েকটি ঘটনা রেখে গেছে বছরটি। আলোচিত-সমালোচিত এসব ঘটনার রেশ হয়তো আগত বছরেও টানতে হবে বীমাখাতকে। তবে ফেলে আসা বছরটিতে বীমাখাতে অর্জনও কম নেই। বীমাখাতের উন্নয়ন তরান্বিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ এসেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থেকে। এগিয়ে এসেছে বীমাকারীরাও। আর তাই উন্নয়নের পথে চলতে শুরু করেছে দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম অংশীদার বীমা শিল্প। বিদায় বছরে বীমাখাতে আলোচিত এমনই ১০টি ঘটনা ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় ৭৩ কোটি টাকা দাবি পরিশোধ:

গেল বছরের ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এর বিএস ২১১ ফ্লাইট দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানটিতে সর্বমোট আরোহী ছিলেন ৭১ জন। দুর্ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশি, ২৩ নেপালি, ১ চীনাসহ মোট ৫১ জন নিহত হন। আহতদের মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি, ১০ জন নেপালি ও ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক।

এ দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের পরিবার প্রতি প্রায় ৫১ হাজার ২শ' মার্কিন ডলার তথা ৪৩ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এর বীমাকারী সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। দু’দফায় নিহত ১৩ এবং আহত ৩ যাত্রীর পরিবারের কাছে বীমা দাবি বাবদ ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

আর দুর্ঘটনার ১ মাসের মধ্যেই ইউএস-বাংলার বিমানের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫৮ কোটি টাকা হস্তান্তর বীমা কোম্পানি সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৭৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। তবে নিহত অন্যান্যের পরিবারকেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বীমা গ্রাহক জুট টেক্সটাইল মিলের ভয়াবহ জালিয়াতি:

গ্রাহকের দ্বারা নজিরবিহীন বীমা জালিয়াতির ঘটনার প্রমাণ মেলে বিদায় বছরেই। খুলনার জুট টেক্সটাইল মিল এই বীমা জালিয়াতির মূল হোতা। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকার বিল-ভাউচার জালিয়াতি, দোকানীদের স্বাক্ষর জালিয়াতি, তথ্য গোপন ও মিথ্যা অভিযোগে দ্বিতীয় সার্ভেয়ার নিয়োগ এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দ্বিগুণ করা হয় বীমা দাবি। বীমা গ্রহীতা ও দ্বিতীয় জরিপকারীদের যোগসাজসে কারসাজি করে রাতারাতি ১২ কোটি টাকার বীমা দাবি হয়েছে ২৪ কোটি টাকা।

প্রথম ও দ্বিতীয় জরিপ প্রতিবেদনের বীমা দাবির অংক দ্বিগুণ হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। অথচ বিল-ভাউচার যাচাই-বাছাই না করে রহস্যজনকভাবে ২৪ কোটি টাকা বীমা দাবি ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। এমনকি এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমলে না নিয়েই একতরফা রায় দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এমন অসংখ্য জালিয়াতির অভিযোগ ভিন্ন ভিন্ন বীমা দাবির ক্ষেত্রের নয়, একটি মাত্র বীমা দাবি হাতিয়ে নিতেই এমন প্রতারণা করেছে খুলনার জুট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। ইন্সুরেন্স নিউজ বিডি’র অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে চাঞ্চল্যকর এসব জালিয়াতির। বীমা দাবির অংক বাড়ানোর কারসাজিতে দ্বিতীয় জরিপকারীদের যোগসাজস, বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষপাতিত্বমূলক সিদ্ধান্তসহ অনুসন্ধানের বিস্তারিত তথ্য ইন্সুরেন্স নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়।

বায়রা লাইফকে সাড়ে কোটি টাকা জরিমানা:

বেসরকারি বীমা কোম্পানি বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। কর্তৃপক্ষ বলছে, বায়রা লাইফ ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বীমা আইন ২০১০ এর ৩০ ধারা অনুসারে প্রতিবছর কোম্পানির দায় মূল্যায়ন করেনি এবং বীমা আইনের ৩২ ধারা মোতাবেক দায় মূল্যায়নের প্রতিবেদন আইডিআরএ’র কাছে দাখিলও করেনি।

এ কারণে বীমা আইন ২০১০ এর ১৩০ ধারা মোতাবেক প্রতিবছরের জন্য আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৫ লাখ টাকা করে মোট ৩৫ লাখ টাকা এবং বিগত ৭ বছর ধরে আইন লঙ্ঘন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা হিসেবে ১ অক্টোবর ২০১২ থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত ৪ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।

দেশজুড়ে দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ:

দেশব্যাপী বিভিন্ন কোম্পানির বীমা দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যানসহ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ও কর্মকর্তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ এখাতে ইতিবাচক ধারা বয়ে এনেছে। ২০১৮ সালের প্রথশ ৮ মাসেই প্রায় ৩ হাজার ৩শ' কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করে দেশের বীমাখাত।

বীমা দাবি বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)'র কঠোর অবস্থান, কার্যকর পদক্ষেপ এবং সুষ্পষ্ট নির্দেশনার কারণে বীমা কোম্পানিগুলো দাবি পরিশোধে এগিয়ে আসে। আইডিআরএ'কে সম্পৃক্ত করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বীমা দাবির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান করে বীমা কোম্পানিগুলো।

বীমাকারীর নিবন্ধন নবায়ন ফি কমিয়ে গেজেট প্রকাশ:

গেল বছর দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির নিবন্ধন নবায়ন ফি কমিয়ে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। গেজেটে বলা হয়, বীমা ব্যবসা নিবন্ধন ফি বিধিমালা- ২০১২ এর বিধি ৩ এর উপ-বিধি (২) এ উল্লিখিত “তিন দশমিক পাঁচ শূন্য” শব্দগুলির পরিবর্তে “এক দশমিক শূন্য” শব্দগুলি প্রতিস্থাপিত হইবে।

এই গেজেটের ফলে বীমা কোম্পানিগুলোকে এখন থেকে নিবন্ধন নবায়ন ফি দিতে হবে হাজারে এক টাকা। এর আগে কোম্পানিগুলোকে প্রিমিয়াম আয়ের ওপর প্রতি হাজারে সাড়ে তিন টাকা নিবন্ধন নবায়ন ফি দিতে হতো।

নন-লাইফে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের প্রবিধান চূড়ান্ত:

প্রিমিয়াম আয়ের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়ে নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণী বিধিমালা, ২০১৮ এর খসড়া চূড়ান্ত করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবসা ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণী প্রবিধানমালা, ২০১৬ রহিত করে গেল বছর কর্তৃপক্ষের এক বৈঠকে প্রবিধানমালাটি চূড়ান্ত করা হয়।

নতুন প্রবিধানমালার ৩ -এ টেবিল উপস্থাপন করে বলা হয়, "কোন নন-লাইফ বীমাকারী কোন পঞ্জিকা বৎসরে সাকুল্যে ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ সর্বোচ্চ নিম্ন বর্ণিত অর্থ ব্যয় করিতে পারিবে, যথা:- সংশ্লিষ্ট বৎসরে- (ক) পরিচালিত ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বীমা এজেন্ট ও ব্রোকারগণকে পরিশোধিত কমিশন খরচ ও অন্যান্য পারিশ্রমিক; এবং (খ) বাংলাদেশে সরাসরি লিপিবদ্ধ মোট গ্রস প্রিমিয়াম আয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর উপর নিম্নবর্ণিত টেবিলে বর্ণিত অর্থ,"

২০১৮ সালের এ প্রবিধানে সরাসরি বাংলাদেশে ইস্যুকৃত বীমাকারীর মোট গ্রস প্রিমিয়াম আয়কে ৮টি অংশে বিভক্ত করে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ ছাড়াও বীমা এজেন্ট ও ব্রোকারগণকে পরিশোধিত কমিশন খরচ ও অন্যান্য পারিশ্রমিক ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের বাইরে রাখা হয়েছে। ১৯৫৮ সালের প্রবিধানেও এটি ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের বাইরে ছিল। তবে ২০১৬ সালের রহিত প্রবিধানে কমিশনকে মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৫৮ সালের বিধির চেয়ে নতুন প্রবিধানে ১১.২৯ শতাংশ ব্যয়সীমা বাড়ানো হয়।

বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে আইডিআরএ’র গণ শুনানি:

লাইফ ও নন-লাইফ বীমা দাবি নিষ্পত্তি করতে গণ শুনানি আয়োজন করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ গণ শুনানি আয়োজন করা হয়। যেকোনো বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে গেল বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ কর্তৃপক্ষে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়।

বীমা কোম্পানির বেতন কাঠামো নির্ধারণে কমিটি গঠন:

দেশের বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর বেতন কাঠামো নির্ধারণে গেল বছরেই কমিটি গঠন করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। লাইফ ও নন-লাইফ বীমাখাতে ১৬ সদস্য করে পৃথক দু'টি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

গত বছরের ১ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের এক অফিস আদেশে এসব কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। প্রতিটি কমিটিতে ১ জন সভাপতি, ১৪ জন সদস্য এবং ১ জন সদস্য সচিব রাখা হয়। কমিটি দু'টিকে সকল বীমা কোম্পানির জন্য একইরূপ সাংগঠনিক কাঠামো, বেতন স্কেল এবং অভিন্ন সার্ভিস রুল তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়।

লাইফ বীমার জন্য গঠিত কমিটিতে সভাপতি করা হয় আইডিআরএ'র সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমদকে এবং নন-লাইফ বীমায় সভাপতি করা হয় কর্তৃপক্ষের সদস্য গকুল চাঁদ দাসকে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, ইন্স্যুরেন্স একাডেমি, ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন, ইন্স্যুরেন্স ফোরাম ও কোম্পানি প্রতিনিধিরা রয়েছেন কমিটিতে।

যমুনা গ্রুপের ৩৮ কোটি টাকা দাবি পরিশোধ করে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স:

যমুনা গ্রুপের মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান যমুনা স্পিনিং মিলস লিমিটেড ও যমুনা ডেনিমস লিমিটেড এর বীমা দাবির প্রায় ৩৮ কোটি টাকা দাবি পরিশোধ করে বেসরকারি নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আইডিআরএ'র মধ্যস্থতায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ'র কার্যালয়ে এ চেক হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য যে, যমুনা গ্রুপের বীমা দাবি আদায়ে সার্বিক আইনি সহায়তা দিয়েছে বীমা বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইন্স্যুরেন্সকনসালটেন্টবিডি।

জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত বীমাকারীর ৮ পরিচালক ও মূখ্য নির্বাহীর বিজয়:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন বীমা কোম্পানির ৮ মালিক ও মূখ্য নির্বাহী। এর মধ্যে ৪ জন বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, ৩ জন পরিচালক এবং ১ জন মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বর  ভোট শেষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচিতরা হলেন- নোয়াখালী-২ আসনে বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম। মৌলভীবাজার-৪ আসনে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। কুমিল্লা-৩ আসনে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন। ঢাকা-৯ আসনে রিপাবলি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পরিচালক সাবের হোসেন চৌধুরী।

ঢাকা-১১ আসনে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স লিমিডেট এর পরিচালক এ কে এম রহমতুল্লাহ। নোয়াখালী-১ আসনে অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক এইচ এম ইব্রাহিম। চট্টগ্রাম-৩ আসনে রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মিতা এবং টাঙ্গাইল-৬ আসনে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহসানুল ইসলাম টিটু নির্বাচিত হন।