নন-লাইফে ৯ মাসে ১৮ হাজার ৭৭১ দাবি পরিশোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ১৮ হাজার ৭৭১টি বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। এসব দাবির অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩১৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ সময় উত্থাপিত মোট দাবির ৬৬.৩১ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে।
নন-লাইফ বীমাকারীর ব্যবসার দক্ষতার মূল্যায়ন শীর্ষক তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনের এ তথ্য প্রকাশ করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । আলোচ্য সময়ে সর্বমোট ২৮ হাজার ৩০৬টি বীমা দাবি উত্থাপন হয়। টাকার অংকে যার পরিমাণ ৩ হাজার ১৬৮ কোটি ৮০ লাখ।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালের প্রথম ৯ মাসে অগ্নি বীমাখাতে ২ হাজার ৭৬৯টি দাবি উত্থাপন হয়। এসব দাবির অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে ১ হাজার ৩৯৯টি বীমা দাবি বাবদ ৬৮১ কোটি ৫১ লাখ টাকা পরিশোধ করে বীমা কোম্পানিগুলো। দাবি পরিশোধের হার ৫১ শতাংশ।
নৌ- কার্গো বীমায় ৪৭২ কোটি ১৮ লাখ টাকার ৫ হাজার ৮১৫টি দাবি উত্থাপন হয়। এরমধ্যে ৩ হাজার ৩২৯টি দাবি বাবদ ১৭২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা পরিশোধ করে বীমা কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ ৫৭ শতাংশ দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। অনিষ্পন্ন রয়েছে ২ হাজার ৪৮৬টি বীমা দাবি।
আর নৌ- হাল বীমায় ৩৪ কোটি ৩ লাখ টাকার ৬৩টি দাবি উত্থাপন করা হয়। এরমধ্যে ৩৫টি বীমা দাবি নিষ্পন্ন করা হয়েছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ নৌ- কার্গো বীমার ৫৬ শতাংশ দাবি পরিশোধ করেছে কোম্পানিগুলো। এ খাতে অনিষ্পন্ন দাবির পরিমাণ ২৮টি, ৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মোটর বীমাখাতে আলোচ্য সময়ে ১৫৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ১১ হাজার ৫৭টি দাবি উত্থাপন হয়। এর মধ্যে ৭ হাজার ১শ’টি দাবি বাবদ ৭৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা পরিশোধ করে বীমা কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ ৬৪ শতাংশ দাবি পরিশোধ হয়েছে। আর ৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার ৩ হাজার ৯৫৭টি দাবি অনিষ্পন্ন রয়েছে।
বিবিধ বীমা বাবদ ৪৩১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ৮ হাজার ৬০২টি দাবি উত্থাপন হয়। এর মধ্যে ৬ হাজার ৯০৮টি বীমা দাবি বাবদ ৩৮০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা পরিশোধ করে নন-লাইফ বীমাকারীরা। তবে ৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকার ১ হাজার ৬৯৪টি বীমা দাবি অনিষ্পন্ন রয়েছে। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ দাবি পরিশোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অগ্নি, নৌ- কার্গো, নৌ- হাল, মোটর এবং বিবিধ বীমাখাতে ২ হাজার ৮৯৯টি পুনর্বীমা দাবি উত্থাপন হয়। যা টাকার অংকে ৬৯০ কোটি ৮৭ লাখ। তবে পুনর্বীমা দাবি পরিশোধের কোন তথ্য প্রকাশ করেনি বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।