নন-লাইফ খাতের সম্পদে ১০% প্রবৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সরকারি-বেসরকারি ৪৬টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির সম্পদে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের সার্বিক হিসাবে এই প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৭ কোটি ৪ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) নন-লাইফ বীমাকারীর ব্যবসার দক্ষতা মূল্যায়ন শীর্ষক তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে । দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিগুলোর মোট সম্পদ ছিল ৯ হাজার ২১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যা প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৮ হাজার ১৮৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিগুলোর সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে স্থায়ী আমানতসহ নগদ ও নগদ সমমান খাতে। মোট সম্পদের ৩৩.৮৯ শতাংশ তথা ৩ হাজার ৪২১ কোটি ৭১ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে এ খাতে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বিনিয়োগ (স্থায়ী আমানত ব্যতিত) খাত। এ খাতে সম্পদের পরিমাণ ১৮শ’ ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
নন-লাইফ বীমাখাতে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) । এ খাতের মোট সম্পদের ২৬ শতাংশ-ই প্রতিষ্ঠানটির। ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৫১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
সম্পদে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি মালিকানাধীন গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। এ খাতের মোট সম্পদের ১০ শতাংশ তথা ১ হাজার ৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে কোম্পানির। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির সম্পদ বেড়েছে ৩ শতাংশ। ৮৪০ কোটি ৯৮০ লাখ টাকার সম্পদ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ।
অন্যদিকে সবচেয়ে কম সম্পদের তালিকায় রয়েছে বিডি কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স। বেসরকারি এ কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা। এ খাতের মোট সম্পদের শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ সম্পদ কোম্পানিটির। তৃতীয় প্রান্তিকে বিডি কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের সম্পদ আরো ৩ শতাংশ কমেছে।
এ ছাড়াও সিকদার ইন্স্যুরেন্স, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, কর্নফুলী ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমাশিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ও প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের সম্পদ কমেছে।