চেক হাতে নিয়ে ৯ মাস, টাকার দেখা নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক: চেক নিয়ে ৯ মাস ধরে ঘুরছেন সানফ্লাওয়ারের গ্রাহক ফজলুল করিমের স্ত্রী সম্পা। কিন্তু টাকা পাচ্ছেন না। ব্যাংকে গেলে জানানো হচ্ছে টাকা নেই। আর সানফ্লাওয়ারের কর্মকর্তারা বলছেন টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একবার ব্যাংক আর একবার সানফ্লাওয়ারের অফিসে ঘুরপাক খাচ্ছেন সম্পা।
টাকা না পেয়ে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র কাছে হয়রানির অভিযোগ করেন ফজলুল করিমের স্ত্রী ও পলিসির নমিনী সম্পা। চলিত মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ সময় সানফ্লাওয়ারে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুল আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। একই সাথে ২/১ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা হবে বলেও তিনি জানান।
কিন্তু তিন সপ্তাহ পার হলেও ওই গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করেনি সানফ্লাওয়ার লাইফ। টাকা না পেয়ে সম্পা আবারো তার হয়রানির কথা তুলে ধরেন ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র কাছে।
সম্পা জানান, তার স্বামী ফজলুল করিম সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পলিসি কেনেন ২০০৫ সালে। ১২ বছর মেয়াদী এ পলিসির বীমা অংক ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বাৎসরিক প্রিমিয়াম ৩০ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে বীমা পলিসিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। ফজলুল করিমের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। তিনি সৌদি প্রবাসী।
সম্পা বলেন, বীমার সব কিস্তি আমরা পরিশোধ করেছি। ১২ বছরে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা হয়েছে। কিন্তু বীমা কোম্পানি বলছে আমাদের সব কিস্তি জমা হয়নি। দু’দফায় আমাকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা (এসবি) দিয়েছে। বাকি ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আমাকে এখন দেয়ার কথা।
তিনি বলেন, বীমা কোম্পানি আমাকে চেক দিয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪২ টাকার। তাও আবার পলিসির মেয়াদোত্তীর্ণের ১ বছর পর। চেকটি ব্যাংকে জমা দেয়ার পর একাউন্টে টাকা নেই বলে ফেরত দিয়েছে। কয়েকবার এমন হওয়ার পর বীমা কোম্পানিকে জানিয়েছি। এরপরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সম্পা আরো জানান, সর্বশেষ গত ১১ ফেব্রুয়ারি সানফ্লাওয়ার লাইফের কক্সবাজার ব্রাঞ্চের ইনচার্জ আকতার হোসেন ডিজঅনার হওয়া চেকটি নিয়ে গেছেন। চেকটি নেয়ার সময় তাকে জানানো হয়েছিল এ সপ্তাহে টাকা দিবে কিন্তু টাকা দেয়নি। নতুন কোন চেকও দেয়নি।