মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স প্রবিধান প্রণয়নের জোর দাবি
ডেস্ক রিপোর্ট: একাডেমি অব লার্নিং লিমিটেড ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্তৃক যৌথভাবে হেল্থ মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স-এর উপর দুদিন ব্যাপি এক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে মাইক্রো ইন্স্যুরেন্সের প্রসার ও উন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী “মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স প্রবিধান” প্রণয়ন করা একান্ত প্রয়োজন বলে জোর দাবি জানানো হয়।
প্রশিক্ষণটি গত ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি আইএলও’র অধীন ইম্প্যাক্ট ইন্স্যুরেন্স ফেসিলিটি-এর সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার প্রনব প্রসাদ ও একাডেমির নিজস্ব প্রশিক্ষকগণ পরিচালনা করেন।
প্রশিক্ষণের সমাপনী পর্বে একাডেমি অব লার্নিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা (সাবেক সদস্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ) এবং ইম্প্যাক্ট ইন্স্যুরেন্স ফেসিলিটির প্রনব প্রসাদ জনাব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশের বীমা খাতে অধিকতর উন্নয়ন এবং শৃঙ্খলা আনায়নের লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রবর্তিত ৭২ ঘণ্টার এজেন্ট প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বীমা খাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদার বীমা এজেন্ট গড়ে তোলা অপরিহার্য বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রশক্ষিণে অংশগ্রহণকারী বীমা কোম্পানি ও এনজিও’র প্রতিনিধিগণ হেল্থ মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে পারস্পারিক আলোচনা করেন।
বাংলাদেশে হেল্থ মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স’র প্রসার ঘটিয়ে কীভাবে দেশের বৃহত্তর দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে পরস্পরের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও ধারণা বিনিময় করেন। দেশে হেল্থ মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স-এর প্রসার ঘটিয়ে স্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে সকলে একমত হন।
বক্তারা উল্লেখ করেন, বীমা কোম্পানীগুলো উদ্ভাবনীমূলক যুতসই মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স প্রকল্প প্রবর্তন করে এনজিও-এর সহায়তায় স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে সেক্টর হোল্ডারদের সুদৃষ্টি এবং সহায়তা কামনা করেন।
সবশেষে প্রশিক্ষাণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয় এবং এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দু’দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপ্তি টানা হয়।