ফেসবুকে বীমা কর্মীর ক্ষোভ

কর্মচারিরা এখন কি করবে? আত্মহত্যা নাকি চুরি?

নিজস্ব প্রতিবেদক: সামান্য বেতন, নেই পদোন্নতি, চাকরিরও নেই নিশ্চয়তা। ছেলে-মেয়ের খরচ আর সংসার চালাতে পাগলপ্রায়। এমন অবস্থায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় এক বীমাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র এক কর্মকর্তার ফেসবুক পোস্টে মো. মহান নামের ওই ব্যক্তি তুলে ধরেন বীমাখাতের নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতি।   

ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র পাঠক ও সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে তার মন্তব্যটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

"ধন্যবাদ স্যার। সবকিছু হয় বেতন কমিটির সভা হয় না। এটা কি অলৌকিক হস্তক্ষেপে ফাইল চাপা পরে আছে নাকি দায়িত্বে অবহেলা? ১৪ বছর ধরে চাকরি করছি, পদবি অফিসার গ্রেড- ২, সবকিছু মিলে বেতন পাই =৭১৭৬/= ।

আশায় ছিলাম এবার কিছু একটা হবে, তাও হলো না আর হবে বলে আশা নাই। আমাদের জীবনের মুল্যবান সময় ছিনিয়ে নিয়ে কোম্পানিগুলো এখন আমাদের রাস্তায় ঠেলে দিচ্ছে। ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে পাগলপ্রায় অবস্হা। কার৩ কাছে বলাও যায় না, সহ্য করাও যায় না।

২০ বছর চাকরি করেও ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলের পড়ার খরচ না দিতে পারার চিন্তায় ষ্টোক করে মারা গেছে তিন মাস আগে এক কলিগ। কোম্পানি গত ১০ বছরে একটা নতুন পে স্কেল দেয়নি। যে ব্রান্চে টার্গেট ফিলআপ হয়না সেই ব্রাঞ্চের কর্মচারিদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয় না। জোন পর্য্যায়ে যারা আছে তারা এবং হেড অফিসের কর্মচারিদের সবকিছুই ঠিক থাকে অথচ ব্রাঞ্চ হলো প্রত্যকটা হেড অফিসের মাঠ অফিস।

মাঠ পর্য্যায়ে সঠিক মূল্যায়ন নাই, বেতন নাই তাহলে নিম্ন লেভের কর্মচারিরা এখন কি করবে? আত্মহত্মা নাকি চুরি? এখন যদি বলা হয়, আমরা কি ধরে রাখছি অন্য কোথাও গেলে না কেন? তাহলে এটা কি কর্মচারিদের সাথে প্রতারনা করা নয়?"