হোমল্যান্ড লাইফের উন্নয়ন কর্মকর্তারাও পাচ্ছেন গ্র্যাচুয়িটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানি হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দাফতরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অভিজ্ঞ উন্নয়ন কর্মকর্তারাও গ্র্যাচুয়িটি সুবিধা পাচ্ছেন। একইসঙ্গে প্রভিডেন্ট ফান্ড, আর্নড লিভ (ইএল) এনক্যাশমেন্ট, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন সময় জারিকৃত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সম্প্রতি হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্র্যাচুয়িটি সুবিধাকে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে বীমা কোম্পানিটি এখন থেকে কর্মকর্তাদের দেয়া গ্র্যাচুয়িটি সুবিধার অর্থের ওপর ট্যাক্স রিবেট বা কর ছাড় পাবে। এমনকি এনবিআর’র তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে প্রদত্ত গ্র্যাচুয়িটির অর্থের ওপরেও ছাড় পাওয়া যেতে পারে বলেও প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

হোমল্যান্ড লাইফ কর্তৃপক্ষ বলছেন, চাকরি স্থায়ীকরণের পর কোন কর্মকর্তা ৫ বছর কাজে নিয়োজিত থাকলেই গ্র্যাচুয়িটি পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হন। তবে গ্র্যাচুয়িটি গণনা করা হয় চাকরি স্থায়ীকরণের তারিখ থেকেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার চাকরির শেষ মাসের মূল বেতন গুনন চাকরির মেয়াদ (বছর) এর সমপরিমাণ অর্থ গ্রাচ্যুয়িটি হিসেবে গণ্য করা হয়।

বীমা কোম্পানিটির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আয়ূব হাশেমী জানান, ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হোমল্যান্ড লাইফ গ্রাহকবান্ধব। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের সার্ভিস রুলের আওতায় নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে রাখার চেষ্টা করে আসছে। এ জন্যই ২০১১ সাল থেকে অর্জিত ছুটি নগদায়ন, ও গ্র্যাচুয়িটি সুবিধা, ২০১৩ সালে প্রভিডেন্ট ফান্ড, ২০১৪ সালে গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স সুবিধা দেয়া শুরু করে। এ সুবিধা শুধুমাত্র দাফতরিক কর্মকর্তাদের নয়, বরং উন্নয়ন কর্মকর্তাদেরও দেয়া হচ্ছে। যা বীমাখাতে অনন্য একটি দৃষ্টান্ত।

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমরা চাই বীমাখাতে দক্ষ ও যোগ্যরা এগিয়ে আসুক। এ জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাও দেয়া দরকার। হোমল্যান্ড লাইফ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গেই গ্রহণ করেছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান যেমন গ্রাহকবান্ধব, তেমনি কর্মকর্তাদের কাছেও প্রত্যাশিত।

তিনি আরো বলেন, অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় অত্র কোম্পানীতে প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচিুয়িটি, অর্জিত ছুটি নগদায়ন, গ্রুপ বীমা, উৎসব ভাতা, নববর্ষ ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছি। যাতে করে অত্র সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে শিক্ষিত ও মেধাবীরা আগ্রহী হয় এবং সুযোগ্য নেতৃত্ব গড়ে ওঠে। ফলে আমাদের কর্মকর্তারা চাকুরীর নিরাপত্তাসহ মানসিক স্বস্তি নিয়ে কাজ করে। যা প্রতিষ্ঠানের আশানুরূপ অগ্রগতিরও কারণ। বীমাখাতের ইমেজ বাড়াতে হলে ভালো গ্রাহকসেবার পাশাপাশি কর্মীবান্ধবও হতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।