রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডে বিআইএ’র শোক
ডেস্ক রিপোর্ট: সম্প্রতি রাজধানীতে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি পুরানো ঢাকার চুড়িহাট্রায় হাজী ওয়াহেদ ম্যানসন ও পাশ্ববর্তী ৩টি ভবনে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ড, ২৮ মার্চ বনানীতে এফ আর টাওয়ার এর অগ্নিকাণ্ড এবং ৩০ মার্চ তারিখে গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ড সারাদেশের মানুষকে সাংঘাতিকভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বিআইএ প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্মিত এবং নির্মীয়মান বড় বড় ভবনগুলো বাধ্যতামূলকভাবে ইন্স্যুরেন্সের আওতায় আনার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের নিকট আবেদন জানিয়ে আসা হচ্ছে। প্রতিটি ভবন বীমার আওতায় থাকলে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলো ভবনের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করার সুযোগ পেত। রাজউকের অনুমোদন থেকে অগ্নি নির্বাপণের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আছে কিনা কিংবা বিপদকালীন সময়ে জরুরি নির্গমনের ব্যবস্থাদি রয়েছে কিনা তা সঠিকভাবে অনুসন্ধান করে বীমার আওতায় আনা যেত এবং ব্যবহারকারীগণও সচেতন হতো। এতে করে ভবন ব্যবহারকারীগণ যেমন উপকৃত হতেন তেমনি অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বহুলাংশে কমে যেত এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেত।
শেখ কবির বলেন, হাইরাইজ ভবনগুলো ইন্স্যুরেন্সের আওতায় থাকলে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলো ভবন মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ পুষিয়ে দেবার ব্যবস্থা করতে পারত এতে করে সরকার তথা দেশের অর্থনীতি ও জানমালের ক্ষতি অনেকাংশে কমে যেত। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃসময়ে বীমা কোম্পানীগুলো ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেত।
তাই দেশের প্রতিটি ভবন বিশেষ করে হাইরাইজ ভবনগুলো বাধ্যতামূলকভাবে বীমার আওতায় আনার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পুনরায় বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এ বিষয়ে বীমা খাতের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নীতি প্রণয়নের বিষয়েও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ভবনের বাধ্যতামূলক বীমা করার সিদ্ধান্ত হলে সিটি কর্পোরেশন ট্রেড লাইসেন্স এবং হোল্ডিং ট্যাক্স নবায়নের সময় বিষয়টি মনিটর করতে পারে।