নন লাইফ’র অতিরিক্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধের সময় বাড়লো

নিজস্ব প্রতিবেদক: নন লাইফ বীমা কোম্পানির অতিরিক্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ)। এর আগে ১৩ মে’র মধ্যে অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ৩০ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আদায়কৃত প্রিমিয়াম জমা করতে যেকোন তফসলি ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রাখতে পারবে নন লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। কোনোভাবেই একাধিক ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে না। প্রিমিয়াম জমার ক্ষেত্রে যদি একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে যেকোনো একটি রেখে অতিরিক্তগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

আইডিআরএ বলছে, কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ পলিসি করে, কাগজপত্রে তার অর্ধেকেরও কম দেখানো হয়। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পলিসির তথ্য গোপন রেখে তৈরি করা হয় আর্থিক প্রতিবেদন। এক্ষেত্রে কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। এসব হিসাবের মাধ্যমেই পরিশোধ করা হয় অতিরিক্ত কমিশনসহ কোম্পানির নানা ধরনের অবৈধ ব্যয়ের অর্থ। বীমা খাতের এ ধরনের দুর্নীতি বন্ধের উদ্দেশ্যেই একক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট চালুর নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী মূলধন সংরক্ষণের জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য আয় জমাকরণের জন্য অপর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে। এছাড়া দাবি পরিশোধের জন্য একটি ও ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের জন্য একটি ব্যাংক হিসাব রাখা যাবে। সেক্ষেত্রে প্রিমিয়াম জমাকরণ হিসাব থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ উক্ত হিসাবটিতে ট্রান্সফার করে নিতে হবে। কোন অবস্থাতেই দাবির টাকা নগদে পরিশোধ করা যাবে না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শাখা কার্যালয়ের খরচ নির্বাহের ক্ষেত্রে প্রতিটি শাখায় একটি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রিমিয়াম হিসাব থেকে ক্রসড চেক বা ফান্ড ট্রান্সফার ছাড়া অন্য কোন অর্থ উক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করা যাবে না।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সব ধরনের লেনদেন ক্রসড চেকের মাধ্যমে করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের বিশেষ প্রয়োজনে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলন করা যেতে পারে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত এফডিআর ব্যতীত প্রয়োজনীয় অন্য যেকোনো বিষয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পূর্বে কর্র্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। এছাড়াও যেকোন পলিসিতে ১০ হাজার টাকার উপর বীমা স্ট্যাম্প প্রয়ে হলে অবশ্যই পে অর্ডার বা ক্রসড চেক মারফত পরিশোধ পূর্বক পৃথক চালানের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে।