লাইফ বীমায় অতিরিক্ত ব্যয় বেড়েছে ৫%

নিজস্ব প্রতিবেদক: অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে পারছে না দেশের লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র নানামুখী উদ্যোগের পরও অতিরিক্ত ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফল আসেনি। সবশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০১৮ সালেও অতিরিক্ত ব্যয় করেছে ২২টি কোম্পানি। আগের বছরের তুলনায় তাদের অতিরিক্ত ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ।

২০১৭ সালে ৩২টি লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে অতিরিক্ত ব্যয় করে ২৩টি। অর্থাৎ ৯টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় ছিল অনুমোদিত সীমার মধ্যে। এ বছর নতুন করে আরেকটি কোম্পানি তাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় সীমার মধ্যে আনতে পেরেছে। কোম্পানিটি হলো ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ। আগের বছরে কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যয় ছিল ৬৭৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।

নিয়ন্ত্রক সংস্থায় দাখিল করা কোম্পানিগুলোর তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে ২২টি কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৭ সালে কোম্পানিগুলোর অতিরিক্ত ব্যয় ছিল ২ হাজার ২২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সমাপনী বছরে এই ২২ কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যয় বেড়েছে ১০৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।

তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত ব্যয় করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যয়ের পরিমাণ ৭৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৭ সালে কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যয় ছিল ৬৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। তবে শতাংশের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে এনআরবি গ্লোবাল লাইফ, ১৩৩ শতাংশ। আগের বছরে এই অতিরিক্ত ব্যয় ছিল ১৫৭ শতাংশ।

অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে ২০১৮ সালে অতিরিক্ত ব্যয় করে আলফা ইসলামী লাইফ ২২ কোটি ১৯ লাখ টাকা, বায়রা লাইফ ৭ কোটি ৩০ লাখ, বেস্ট লাইফ ৩৭ কোটি ২৪ লাখ, চার্টার্ড লাইফ ৩৭ কোটি ৪২ লাখ, ডায়মন্ড লাইফ ৫ কোটি ৫১ লাখ, গোল্ডেন লাইফ ৫৪ কোটি ১৩ লাখ, হোমল্যান্ড লাইফ ২৮ কোটি ১২ লাখ, যমুনা লাইফ ২২ কোটি ৩৯ লাখ, জেবিসি ৫৩৫ কোটি ৭৭ লাখ, এলআইসি ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।

এ ছাড়াও আলোচ্য বছরে পদ্মা ইসলামী লাইফ ২১১ কোটি ৯৬ লাখ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ১০২ কোটি ৩২ লাখ, প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ১৪ কোটি ৬৬ লাখ, সন্ধানী লাইফ ৫৫ কোটি ৪৯ লাখ, সানলাইফ ১১৬ কোটি ৮০ লাখ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ১১২ কোটি ৫৮ লাখ, স্বদেশ লাইফ ১৭ কোটি ৮০ লাখ, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ৬৬ কোটি ৪৪ লাখ, জেনিথ ইসলামী লাইফ ৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।