দেশেই করা হবে বৃহৎ প্রকল্পের বীমা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহৎ প্রকল্পের বীমা দেশীয় কোম্পানির মাধ্যমে সম্পন্নের প্রস্তাব করা হয়েছে জাতীয় বাজেটে। প্রয়োজনে একাধিক কোম্পানির সাথে যৌথ বীমা সম্পাদনের কথা বলা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে এমন প্রস্তাবনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অ হ ম মোস্তফা কামাল।
এদিকে সরকারের এমন উদ্যোগ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরাও। তাদের মতে প্রতিবছর পুনর্বীমা প্রিমিয়াম বাবদ মোটা অংকের টাকা দেশের বাইরে চলে যায়। কিন্তু সরকারের এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে তা বন্ধ হবে। এতে রাষ্ট্রও লাভবান হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) ও সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, বৃহৎ প্রকল্পের বীমা দেশীয় কোম্পানির মাধ্যমে সম্পন্নের প্রস্তাব আমরা অনেক আগেই দিয়েছি। এর ফলে প্রিমিয়ামের মোটা অংকের টাকা বিদেশে না গিয়ে দেশেই থাকবে।
তিনি বলেন, বর্তমানেও আমরা যৌথ বীমা করে থাকি। এ প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি কোম্পানি প্রধান ভূমিকা পালন করে এবং অন্যগুলো সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাফি উদ্দীন চৌধুরী বলেন, বীমাকৃত অংক নির্দিষ্ট সীমার বাইরে গেলেই যৌথ বীমা বা কো-ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা উচিত। সাধারণ বীমা করপোরেশনকে একটি পূর্ণাঙ্গ পুনর্বীমাকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পক্ষেও মত দেন তিনি।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদী খানম বলেন, আমরা এখনো যৌথ বীমা করছি। তবে বড় প্রকল্পের বীমাগুলো যদি দেশেই করা হয় তাহলে সেটা হবে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে দেশীয় বীমা কোম্পানিগুলোকেও আর্থিকভাবে আরো শক্তিশালী হতে হবে।
মেঘনা লাইফ ও কর্নফুলী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বড় প্রকল্পের বীমা দেশীয় কোম্পানিতে করার প্রস্তাব আমাদের দীর্ঘ দিনের। অবশেষে সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। উদ্যোগটি যদি কার্যকর হয় তাহলে দেশের বীমাখাতে আমূল পরিবর্তন আসবে।