বাদ দেয়া হলো বিআইএ-বিআইএফ’র প্রতিনিধি

স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আইডিআরএ'র সার্ভিলেন্স কমিটিতে সংশোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বীমা পলিসির স্ট্যাম্প শুল্ক আদায় এবং এজেন্ট কমিশনের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ শতাংশ নিশ্চিত করতে গঠিত সার্ভিলেন্স কমিটি সংশোধন করেছে আইডিআরএ। বিআইএ ও বিআইএফ’র প্রতিনিধিদের বাদ দেয়াসহ আহবায়ক পরিবর্তন ও সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে গত ৭ অক্টোবর এ কমিটি সংশোধন করা হয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এ সংশোধন আনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সংশোধিত সার্ভিলেন্স কমিটিতে আহবায়ক করা হয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) খলিল আহমদকে। আইডিআরএ’র পরিচালকদের মধ্যে কমিটির সদস্য রয়েছেন- মো. ছিদ্দিকুর রহমান, শাহ আলম, কামরুল হক মারুফ, আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক ও মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।

এ ছাড়াও নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, অফিসার মো. আবু মাহমুদ এবং জুনিয়র অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সমীর চন্দ্র সরকার ও মো. সোহেল রানা কমিটিতে সদস্য হিসেবে রযেছেন। আর কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের জুনিয়র অফিসার হামেদ বিন হাসানকে।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. শেখ মহ. রেজাউল ইসলামকে প্রধান করে সার্ভিলেন্স টিম গঠন করা হয়। আইডিআরএ’র পক্ষ থেকে এ টিমে আরো ছিলেন- পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং কর্মকর্তা মো. আবু মাহমুদ, রুমানা জামান ও হামেদ বিন হাসান।

সার্ভিলেন্স টিমে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন- রুপালী ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পিকে রায়, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের (বিআইএফ) প্রতিনিধি ছিলেন- সংগঠনটির (বিআইএফএ) সেক্রেটারি জেনারেল ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম শাহীন, বিআইএফ’র জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল খালেক মিয়া।

বিআইএফ’র সেক্রেটারি জেনারেল ও এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম শাহীন বলেন, কৌশলগত সহযোগিতার জন্য আইডিআরএ আমাদেরকে সার্ভিলেন্স কমিটিতে রেখেছিল। কিন্তু আমরা নিজেরাই বলেছি যে, সার্ভিলেন্স কমিটিতে থাকলে আমরা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’র আওতায় পড়ে যাই। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। যা আমাদের জন্য স্বস্তিকর নয়। আমরা চাই প্রশ্নাতীতভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাক এ কমিটি।

বিআইএ’র সেক্রেটারি জেনারেল নিশীথ কুমার সরকার ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে বলেন, সার্ভিলেন্স কমিটি সংশোধনের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে বিআইএ ও বিআইএফ’র প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে সার্ভিলেন্স কমিটিতে যে সংশোধন আনা হয়েছে তা প্রত্যাশিত। কারণ, একটি বীমা কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা যখন অন্য বীমা কোম্পানিতে পরিদর্শনে যাবে সেটা ভালো দেখাবে না। নিয়ন্ত্রণের কাজ নিয়ন্ত্রক সংস্থারই করা উচিত।

আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) ও সংশোধিত সার্ভিলেন্স কমিটির আহবায়ক খলিল আহমদ ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে নিজের ক্ষমতা নিজেই প্রয়োগ করবে। তাই বিআইএ ও বিআইএফ’র প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে সার্ভিলেন্স কমিটি সংশোধন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. শেখ মহ. রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রথমবারের মতো বৈঠক করে সার্ভিলেন্স কমিটি। বৈঠকে বীমা মালিক ও মুখ্য নির্বাহীদের সংগঠন দু’টির নেতারা বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সভায় ৬টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।