লাইফ বীমার প্রিমিয়াম আয়ে ৯ কোম্পানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালে প্রিমিয়াম আয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩২টি লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৯টিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় আলোচ্য বছরে কোম্পানিগুলো ৪৩.৮৭ শতাংশ পর্যন্ত কম প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সম্প্রতি লাইফ বীমাকারীর ব্যবসার দক্ষতা মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
আইডিআরএ’র তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ৬০ কোটি ৯২ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। যা আগের বছর ২০১৭ সালে ছিল ১০৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০১৮ সালে কোম্পানিটি ৪৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা ৪৩.৮৭ শতাংশ প্রিমিয়াম কম সংগ্রহ করেছে।
সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০১৮ সালে ২৫.৫৯ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি করেছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ৮০ কোটি ৭১ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। এর আগে ২০১৭ সালে কোম্পানিটির গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ১০৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৮ সালে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা কম প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে সম্প্রতি প্রথম বর্ষ ব্যবসা সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়া বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালে ২২.৩৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি করেছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। এর আগে বছরে কোম্পানিটির গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৮ সালে বায়রা লাইফ ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা কম প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে।
এ ছাড়াও যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালে ২১.৬৩ শতাংশ প্রিমিয়াম কম সংগ্রহ করেছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। এর আগে ২০১৭ সালে কোম্পানিটির গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৮ সালে যমুনা লাইফ ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা কম প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে।
স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালে সর্বমোট ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। যা আগের বছরে ছিল ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে গেল বছর কোম্পানিটি ৬৬ লাখ টাকা কম প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০.০৬ শতাংশ কম প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে।
ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ২০১৮ সালে ১৫.৯১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি করেছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। এর আগে ২০১৭ সালে কোম্পানিটির গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৮ সালে ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা কম প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে।
একইভাবে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালে ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা ১৩.০৯ শতাংশ প্রিমিয়াম কম সংগ্রহ করেছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ১৫৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। যা আগের বছরে ছিল ১৮২ কোটি ৯ লাখ টাকা।
সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালে ৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বা ৮.৩৩ শতাংশ প্রিমিয়াম কম সংগ্রহ করেছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ১০৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। যা আগের বছরে ছিল ১১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০১৮ সালে ৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা ৭.৯৫ শতাংশ প্রিমিয়াম কম সংগ্রহ করেছে। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ৬৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। যা আগের বছর ২০১৭ সালে ছিল ৭৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।