জেনিথ লাইফের চেয়ারম্যান পুনরায় আ. লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিবেদক:জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার দলটির ২১তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে পদটিতে চতুর্থ বারের মতো তার নাম ঘোষণা করা হয়।
ফরিদুন্নাহার লাইলী এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নবম জাতীয় সংসদে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন নোয়াখালীর এই কৃতী সন্তান।
জানা যায়, জেনিথ ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী ১৯৫৪ সালের ১২ ডিসেম্বর নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা সাইদুর রহমান এবং মাতা মাহামুদা বেগমের তৃতীয় সন্তান তিনি। স্থানীয় হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন কুমিল্লা উইমেন্স কলেজে। সেখানেই তার হাতে খড়ি রাজনীতিতে।
কুমিল্লা উইমেন্স কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন ফরিদুন্নাহার লাইলী। এর আগে তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সেই সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনিও অনেক নেতার সাথে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
ফরিদুন্নাহার লাইলী ১৯৮০-১৯৮১ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সামছুন নাহার হলের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে ভিপি নির্বাচিত হন। মাস্টার্স শেষে পুরোপুরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরই ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিরোধী দলীয় আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনার গ্রেফতারের পর থেকে তার কারামুক্তি পর্যন্ত প্রতিদিনই তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে সংসদ ভবনের সাবজেলের সামনে অবস্থান নিতেন। রাজনৈতিক কারণে বহুবার কারাভোগ করেছেন ফরিদুন্নাহার লাইলী। ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন সময় ছাত্র ও গণ আন্দোলন সংগঠিত করার কাজে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
ফরিদুন্নাহার লাইলীর স্বামী প্রয়াত শাহ আকবর ১৯৬৮-১৯৬৯ সালে নোয়াখালী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন এবং শহর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পারিবারিক জীবনে ফরিদুন্নাহার লাইলী এক সন্তানের জননী। একমাত্র ছেলে ডা. এস এম আকবর জাফরী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষে চিকিৎসা পেশায় কর্মরত আছেন।