বীমা শিল্পও একটি মর্যাদা সম্পন্ন শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে
নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেনিথ ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেছেন, ভঙ্গুর দেশ থেকে আজকের এই উন্নয়নের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা উন্নত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি। সেই উন্নত বাংলাদেশে এই বীমা শিল্পও একটি মর্যাদা সম্পন্ন শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, বীমা খাতের সঙ্গে আমি যুক্ত আছি দীর্ঘসময় ধরে। দেখে আসছি এই বীমা খাত ছিল খুবই অবহেলিত। এই খাতের উন্নয়নে কোন সরকারই ভূমিকা রাখেনি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বীমা খাতের উন্নয়নে নতুন আইন করা হয়। গঠন করা হয় আইডিআরএ। এই প্রতিষ্ঠান গঠনের ফলে বীমা খাতে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা।
তিনি আরো বলেন, আইডিআরএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর দক্ষ নেতৃত্বের ফলে বীমা কোম্পানিগুলো নিয়মিত বীমা দাবি পরিশোধ করছে। শুধু তাই নয়, দেশব্যাপী বীমা মেলা আয়োজন করাসহ নানান উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে জনগণের মাঝে বীমা সম্পর্কে সচেতনতা দিন দিন বাড়ছে।
ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, জাতির পিতা ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। পাকিস্তানের হাতে নির্যাতন, নিপীড়নে নিষ্পেষিত মানুষগুলোকে কিভাবে বীমা সেবার আওতায় আনা যায় সেটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্য।
কিন্তু ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিরা জাতির পিতাকে হত্যা করে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেননি। আমরা সৌভাগ্যবান, জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছি যিনি শত প্রতিকূলতার মাঝেও বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা যারা বীমা শিল্পের সাথে যুক্ত আছি তারা আজকের মতো আগামী দিনেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে একটি উন্নত বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হই।
ফরিদুন্নাহার লাইফ বলেন, সময়ের চাহিদায় নারী যোগ্য হয়ে উঠছে নিজ প্রতিভায়। বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদের বাদ দিয়ে জাতীয় উন্নয়ন কখনই সম্ভব নয়। এ কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত উদ্যোগে নারীর অগ্রগতিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বক্ষেত্রে নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন।