প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে মেঘনা লাইফে, কমেছে ব্যবস্থাপনা ব্যয়
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রিমিয়াম সংগ্রহ বাড়লেও খরচ কমেছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে। ২০১৯ সালে কোম্পানিটির প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় কমেছে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। একইসঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ও বিনিয়োগ। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে (আইডিআরএ) দাখিলকৃত মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২০১৯ সালের ব্যবসার তথ্য পর্যালোচনায় উঠে এসেছে এই চিত্র।
তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে মেঘনা লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৪৩৫ কোটি ৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম ১০৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। দ্বিতীয় বর্ষ প্রিমিয়াম ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আর তৃতীয় ও তদুর্ধ্ব বর্ষের প্রিমিয়াম ২৮১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৮ সালে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৪৩২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ গেলো বছরে কোম্পানিটির প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা দশমিক ৫০ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১৯ সালে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ১২১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে কমিশন খাতে ৫৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন ১০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ২৯ কোটি ৮ লাখ টাকা, অফিস ভাড়া ৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খাতে ১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছে কোম্পানিটি।
হিসাব অনুসারে, গেলো বছর মেঘনা লাইফের ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ১৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। তবে কোম্পানিটি ব্যয় করেছে ১২১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৯ সালে কোম্পানিটি অনুমোদিত সীমার চেয়ে ১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা কম খরচ করেছে। এর আগে ২০১৮ সালেও অনুমোদিত সীমার চেয়ে ১২ কোটি টাকা কম খরচ করেছিল মেঘনা লাইফ। সে বছর কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা ব্যয় ছিল ১২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
২০১৯ সালে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স অফিস খরচসহ উন্নয়ন কর্মকর্তা ও অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা কমিয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা কমিয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা বা ৯ শতাংশ। আর অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন খাতে ব্যয় কমিয়েছে ২৯ লাখ টাকা বা ১ শতাংশ। এ ছাড়াও অফিস ভাড়া বাবদ ব্যয় কমিয়েছে ৪৮ লাখ টাকা বা ৬ শতাংশ।
বর্তমানে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ১ হাজার ৭৮৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা আগের বছরে ছিল ১ হাজার ৬৮৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৯ সালে মেঘনা লাইফের লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১০০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অন্যদিকে কোম্পানিটির বর্তমান বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ২৬১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ১ হাজার ১৮১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র রুদ্র বলেন, আমরা সব সময়ই গ্রাহক স্বার্থের প্রতি সচেতন। গ্রাহকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হলে যেকোন কোম্পানিকে খরচ কমাতে হয়। কম খরচে প্রিমিয়াম আয় বাড়লে বৃদ্ধি পায় লাইফ ফান্ড। যা বীমা গ্রাহক ও কোম্পানির স্বার্থে জরুরি। আমরা সে বিষয়টিকে সামনে রেখেই ব্যবসা পরিচালনা করি।