আইডিআরএ'র ৭৬ নং সার্কুলার

প্রিমিয়াম জমা দেয়ার সময় বাড়লো আরো ৪৫ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: লাইফ বীমায় প্রিমিয়াম জমা দেয়ার অতিরিক্ত সময় (গ্রেইস পিরিয়ড) আরো ৪৫ দিন বাড়িয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । গত ২৫ মার্চ থেকে আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে যেসব বীমা পলিসির গ্রেইস পিরিয়ড শেষ হবে সেসব পলিসির ক্ষেত্রে এই বিধান কার্যকর হবে। এই সময়ে পলিসিগুলোর অধীনে বীমা ঝুঁকি আবরিত থাকবে এবং পলিসিগুলো চলমান হিসেবে বিবেচিত হবে।

গতকাল রোববার (১৯ এপ্রিল) সার্কুলার নং ৭৬/২০২০ জারি করে লাইফ বীমাখাতে এই বিধান কার্যকর করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর ফলে প্রিমিয়াম জমা দেয়ার নির্ধারিত দিনের পর সর্বমোট ৭৫ দিন (প্রচলিত বিধানে ৩০ দিনের সঙ্গে বর্ধিত ৪৫ দিন) অতিরিক্ত সময় পাবে গ্রাহকরা। করোনা ভাইরাস মহামারিতে চলাফেরায় বিধিনিষেধ এবং বীমা কোম্পানিগুলোর অফিস বন্ধ থাকায় প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে অসুবিধার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে আইডিআরএ।

এর আগে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. এম মোশাররফ হোসেন ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আগামী ১৪ এপ্রিল (গত ৯ এপ্রিল তিনি এ বক্তব্য দেন) পর্যন্ত চলমান সাধারণ ছুটি বর্ধিত করেছে সরকার। নির্দেশনা অনুসারে বন্ধ রয়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান। সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। বীমা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারাও ঘরে অবস্থান করছেন। অনলাইন মাধ্যমে প্রিমিয়াম দেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ বীমা গ্রাহকের পক্ষে এখন তা সম্ভব হবে না। এই প্রেক্ষিতে প্রিমিয়াম জমা দেয়ার গ্রেইস পিরিয়ড এক মাস বাড়ানোর কথা ভাবছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।

কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি ৭৮টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। নতুন আরেকটি লাইফ বীমা কোম্পানি সম্প্রতি অনুমোদন লাভ করেছে। এর মধ্যে ৩২টি লাইফ বীমা কোম্পানির সচল পলিসির সংখ্যা ৯০ লাখ ২০ হাজার। আর ৪৬টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির পলিসি সংখ্যা ৩০ লাখ ৮০ হাজার।

২০১৯ সালে দেশের লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ৯ হাজার ৬০৮ কোটি ২২ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। আর নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ৩ হাজার ৬৮২ কোটি ৭০ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। অর্থাৎ গেলো বছরে দেশের ৭৮টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির গ্রস প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ ১৩ হাজার ২৯০ কোটি ৯১ লাখ টাকা।