আইডিআরএ’র ভিজিলেন্স টিমের পরিদর্শন

মেঘনা ইন্স্যুরেন্সে প্রিমিয়াম গোপন ২৬ কোটি টাকা, ভ্যাট ফাঁকি ১৩ কোটি টাকা

আবদুর রহমান আবির: ২৬ কোটি টাকার প্রিমিয়াম গোপন করে বিপুল অংকের ভ্যাট ও স্টাম্প শুল্ক ফাঁকিসহ ১৩ কোটি টাকা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না করে তা তছরুপ করেছে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এছাড়াও কমিশনের উপর উৎসে কর না দিয়ে তা তছরুপসহ প্রধান কার্যালয়সহ ৬টি শাখায় প্রিমিয়াম গোপন করে তা তছরুপ করেছে কোম্পানিটি। আর এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি  আড়াল করতে জালিয়াতির মাধ্যমে অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা প্রতিবেদনও তৈরি করেছে কোম্পানিটি। এসব প্রমাণ পেয়েছে নন-লাইফ বীমাখাতে অবৈধ কমিশন, দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে গঠিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র ভিজিলেন্স টিম। এ প্রেক্ষিতে গত ২৪ মার্চ মেঘনা ইন্স্যূরেন্সকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে  সংস্থাটি।

আইডিআরএ’র পরিচালক (আইন) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত শোকজের চিঠিতে বলা হয়েছে, বীমা আইন ২০১০ এর বিধান ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভ্যাট স্টাম্প শুল্ক ফাঁকি এবং তহবিল তছরুপের উদ্দেশ্যে প্রকৃত প্রিমিয়াম হ্রাস করে কৃত্রিমভাবে তৈরি প্রিমিয়ামের পরিমাণ কোম্পানির কম্পিউটার ডাটাবেইসে রেকর্ড করার দায়ে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ১০, ৫০, ৯৫ এবং ১৩০ এর বিধান এবং অভ্যান্তরীণ নিরীক্ষা জালিয়াতির করার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ১০ এ লাইসেন্স বাতিল, ধারা ৫০ এ চেয়ারম্যান, পরিচালক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণ, ধারা ৯৫ এ প্রশাসক নিয়োগ ও ধারা ১৩০ এ জরিমানার বিধান রয়েছে।

তথ্য অনুসারে, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ১১৪ কোটি ৮১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪৫ টাকা। অথচ বিশেষ নিরীক্ষকের প্রতিবেদন অনুসারে প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়েছে ১৪১ কোটি ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ৪শ’ ১৮ টাকা। এ হিসেবে প্রিমিয়াম গোপন করে তহবিল তছরুপ করা হয়েছে ২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার।

নেটিশে বলা হয়েছে, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে কোম্পানিটি ১৩ কোটি ৭১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৮ টাকা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তা তছরুপ করেছে। এ তথ্য ভিজিলেন্স টীম পেয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে সরবরাহ করা নথিপত্র পর্যালোচনা করে।

নেটিশের তথ্য অনুসারে, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে সময়ে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ১৯৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭শ’৩১ টাকা। নিয়ম অনুসারে গ্রাহকের কাছ ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাটসহ প্রিমিয়াম কোম্পানির হিসাবে জমা করে। পরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কোম্পানিকে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। সেই  হিসেবে ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত  ৮ বছরে ভ্যাট বাবদ ২৯ কোটি ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার কথা। অথচ কোম্পানিটি ভ্যাট জমা দিয়েছে ১৫ কোটি ৯০ লাখ ৪৬ হাজার ১২১ টাকা। অর্থাৎ ১৩ কোটি ৭১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৮ টাকা ভ্যাট কোম্পানিটি সরকারি কোষাগারে জমা করেনি।

সরকারি কোষাগারে জমা না ভ্যাটের টাকা তছরুপ করার বিষয়ে নোটিশে বলা হয়, কোম্পানিটি মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্যাট মওকুফের সুবিধা কথা উল্লেখ করলেও মওকুফের স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে কোম্পানিটি অর্থ তছরুপ করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।

নোটিশের তথ্য অনুসারে, এজেন্ট পরিশোধ করা কমিশনের উপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর পরিশোধ না করে ২০১৮ সালে ২৬ লাখ ৬২ হাজার ২০১ টাকা তছরুপ করেছে।

তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ৩৯ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ১৩৬ টাকা। যার বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে কমিশনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৯২ লাখ ৪৪ হাজার ২০ টাকা। আর কমিশনের উপর ৫ শতাংশ হিসেবে উৎস কর হিসাব করলে দাঁড়ায় ২৯ লাখ ৬২ হাজার ২শ’১ টাকা। কিন্তু কমিশনের বিপরীতে উৎস কর পরিশোধ করা হয় ৩ লাখ টাকা। বাকি ২৬ লাখ ৬২ হাজার ২০১ টাকা তছরুপ করা হয়।

নোটিশের উল্লেখ করা হয়, কর্তৃপক্ষের নিয়োগ করা বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটি ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ২৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার প্রিমিয়াম গোপন করে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করে মোটা অংকের ভ্যাট ও স্টাম্প শুল্ক ফাকি দেয়া হয়েছে।  

শাখা ভিত্তিক প্রিমিয়াম গোপন, ভ্যাট ও রাজস্ব ফাঁকি, তহবিল তছরুপ:

কারণ দর্শানোর নোটিশের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে নবাবপুর, বংশাল, মতিঝিল, মহাখালী, প্রিন্সিপাল শাখা ও ভিআইপি শাখায় ৮৭টি পলিসির বিপরীতে প্রকৃত প্রিমিয়াম ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা হলেও কম্পিটারে ডাটা বেজে রেকর্ড করা হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৬৬৬ টাকা। অর্থাৎ প্রিমিয়াম গোপন করে ডাটাবেজে প্রিমিয়াম কম রেকর্ড করা হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে নবাবপুর, বংশাল, মতিঝিল, মহাখালি প্রিন্সিপাল শাখায় প্রিমিয়াম গোপন ও ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে তহবিল তছরুফ করা হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৩ হাজার ৭শ’ ৭৩ টাকা। আর ভিআইপি শাখায় প্রিমিয়াম গোপন করা হয়েছে ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ২শ’ ২৬টাকা। এই হিসেবে মোট তহবিল তছরুপের পরিমাণ ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬২ হাজার ৯শ’ ৯৯ টাকা।

নবাবপুর শাখায়:

আইডিআরএ’র কারণ দর্শানো নোটিশের তথ্য অনুসারে, নবাবপুর শাখায় ২০১৯ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয় ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৯২ টাকা। আর কম্পিউটার ডাটা বেজে প্রিমিয়াম সংগ্রহ দেখানো হয় ৪২ হাজার ২৩ টাকা। অর্থাৎ প্রিমিয়াম গোপন করা হয়েছে ৩৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬শ’ ৬৯ টাকা।

অন্যদিকে প্রকৃত প্রিমিয়াম সংগ্রহের বিপরীতে ভ্যাটের পরিমাণ হয় ৫ লাখ ১৪ হাজার ৬শ’ ২৪ টাকা। অথচ ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩শ’ ৩ টাকা। অর্থাৎ শাখাটিতে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৩শ’ ২১। অর্থাৎ শাখাটিতে ৩৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬শ’ ৬৯ টাকার প্রিমিয়াম গোপন করে ও ৫ লাখ ৮ হাজার ৩শ’ ২১ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে মোট ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৯শ’ ৬৯ টাকা তহবিল তছরুপ করা হয়েছে।

বংশাল শাখা:

আইডিআরএ’র কারণ দর্শানো নোটিশের তথ্য অনুসারে, বংশাল শাখায় ২০১৯ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয় ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯শ’ ৩৩ টাকা। আর কম্পিউটার ডাটা বেজে প্রিমিয়াম সংগ্রহ দেখানো হয় ৫০ হাজার ৬শ’ ৩৪ টাকা। অর্থাৎ প্রিমিয়াম গোপন করা হয়েছে ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ২শ’ ৯৯ টাকা।

অন্যদিকে প্রকৃত প্রিমিয়াম সংগ্রহের বিপরীতে ভ্যাটের পরিমাণ হয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ১শ’ ৬৯ টাকা। অথচ ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে ৭ হাজার ৫শ’ ৯৬ টাকা। অর্থাৎ শাখাটিতে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫শ’ ৭৩। অর্থাৎ শাখাটিতে ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ২শ’ ৯৯ টাকার প্রিমিয়াম গোপন করে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫শ’ ৭৩টাকার ভ্যাট ফাকি দিয়ে মোট ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৮শ’ ৭২ টাকা তহবিল তছরুপ করা হয়েছে।

মতিঝিল শাখা:

আইডিআরএ’র কারণ দর্শানো নোটিশের তথ্য অনুসারে, মতিঝিল শাখায় ২০১৯ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয় ৪৮ লাখ ৬ হাজার ৫শ’ ৫৭ টাকা। আর কম্পিউটার ডাটা বেজে প্রিমিয়াম সংগ্রহ দেখানো হয় ৬৫ হাজার ৯শ’ ৬২ টাকা। অর্থাৎ প্রিমিয়াম গোপন করা হয়েছে ৪৭ লাখ ৯৪ হাজার ৫শ ৯৫ টাকা।

অন্যদিকে প্রকৃত প্রিমিয়াম সংগ্রহের বিপরীতে ভ্যাটের পরিমাণ হয় ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৩শ’ ৩৭ টাকা। অথচ ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে ৯ হাজার ১৭ টাকা। অর্থাৎ শাখাটিতে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ২শ’ ৯৩। অর্থাৎ শাখাটিতে ৪৭ হাজার ৯৪ হাজার ৫শ’ ৯৫ টাকার প্রিমিয়াম গোপন করে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ২শ’ ৯৩ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে মোট ৫৪ লাখ ৬২ হাজার ৮শ’ ৮৮ টাকা তহবিল তছরুপ করা হয়েছে।

প্রিন্সিপাল শাখা:

আইডিআরএ’র কারণ দর্শানো নোটিশের তথ্য অনুসারে, প্রিন্সিপাল শাখায় ২০১৯ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয় ৮ লাখ ২৮ হাজার ৬শ’ ৯৫ টাকা। আর কম্পিউটার ডাটা বেজে প্রিমিয়াম সংগ্রহ দেখানো হয় ৫ হাজার ৬শ ৬১ টাকা। অর্থাৎ প্রিমিয়াম গোপন করা হয়েছে ৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৪ টাকা।

অন্যদিকে প্রকৃত প্রিমিয়াম সংগ্রহের বিপরীতে ভ্যাটের পরিমাণ হয় ১ লাখ ২৪ হাজার ৩শ’৪ টাকা। অথচ ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে ৮শ’ ১৬ টাকা। অর্থাৎ শাখাটিতে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪শ’ ৮৮। অর্থাৎ শাখাটিতে ৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৪ টাকার প্রিমিয়াম গোপন করে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪শ’ ৮৮ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে মোট ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫শ’ ২২ টাকা তহবিল তছরুপ করা হয়েছে।

মহাখালি শাখা:

আইডিআরএ’র কারণ দর্শানো নোটিশের তথ্য অনুসারে, মহাখালি শাখায় ২০১৯ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয় ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৯শ’ ৪৭ টাকা। আর কম্পিউটার ডাটা বেজে প্রিমিয়াম সংগ্রহ দেখানো হয় ৭ হাজার ৮৬ টাকা। অর্থাৎ প্রিমিয়াম গোপন করা হয়েছে ১০ লাখ ৬২ হাজার ৮শ’ ৬১ টাকা।

অন্যদিকে শোকজ নোটিশের তথ্য অনুসারে প্রকৃত প্রিমিয়াম সংগ্রহের বিপরীতে ভ্যাটের পরিমাণ হয় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫ টাকা। অথচ ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে ৯শ’২৩ টাকা। অর্থাৎ শাখাটিতে ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে ১৫৮,১৬২। অর্থাৎ শাখাটিতে ১০ লাখ ৬২ হাজার ৮শ’ ৬১  টাকার প্রিমিয়াম গোপন করে ১ লাখ ৫৮ হাজার ১শ’ ৬২ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে মোট ১২ লাখ ২১ হাজার ২৩ টাকা তহবিল তছরুপ করা হয়েছে।

ভিআইপি শাখা:

আইডিআরএ’র কারণ দর্শানো নোটিশের তথ্য অনুসারে, ভিআইপি শাখায় ২০১৯ সালে মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয় ২৫ লাখ ১৪ হাজার ৫শ’২৬ টাকা। আর কম্পিউটার ডাটা বেজে প্রিমিয়াম সংগ্রহ দেখানো হয় ৫৫ হাজার ৩শ’ টাকা। অর্থাৎ প্রিমিয়াম গোপন করা হয়েছে ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ২২৬ টাকা। তবে ভিআইপি শাখায় কত টাকার ভ্যাট পরিশোধ করে কত টাকার ভ্যাট পরিশোধ করা হয়েছে তার কোনো তথ্য শোকজ নোটিশে দেয়া হয়নি।

এসব বিষয়ে মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে বলেন, আইডিআরএ’র শোকজের চিঠি আমরা পেয়েছি। সেখানে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে তার সবই ঠিক নয়। তবে কিছু অনিয়ম হয়েছে। আসলে ওই সময়ের বাজার পরিস্থিতির কারণে এমনটি হয়েছে। আইডিআরএ’র সব অভিযোগের সঠিক জবাব আমাদের কাছে আছে। আমরা সেটা আইডিআরএ’র কাছে উপস্থাপন করবো। তখন এসব অভিযোগের সুরাহা হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

আইডিআরএ’র সদ্য সাবেক (১১ মে, ২০২০ চুক্তির মেয়াদ শেষ) সদস্য (আইন অনুবিভাগ এবং অতিরিক্ত দায়িত্বে নন-লাইফ অনুবিভাগ) বোরহান উদ্দিন আহমেদ ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে বলেন, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে প্রিমিয়াম গোপন, ভ্যাট-শুল্ক ফাঁকির বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। তাই এখনই তাদেরকে দোষী বা নির্দোষ বলার সুযোগ নেই। তাছাড়া আমি এখন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে না থাকায় বর্তমান অবস্থা বলতে পারছি না।

আমি যতদূর জানি, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ পাওয়ার পর গত মার্চে কোম্পানিটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ায় বিষয়টি আর এগোয়নি। এখন কোম্পানিটি নোটিশের জবাব দিলে সেটার পরীক্ষা-পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে শুনানী হবে তারপরই বলা যাবে আসলে ঘটনাটি কি ঘটেছে। তাদের জবাব এবং আরো পরীক্ষা-তদন্ত ছাড়া কিছু বলার সুযোগ নেই।