জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্টে যোগদান করলো মেটলাইফ

ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্বের সর্ববৃহৎ করপোরেট সাসটেইনিবিলিটি উদ্যোগ ‘জাতিসংঘ গ্লোবাল কম্প্যাক্ট’ এ যোগদান করেছে মেটলাইফ। জাতিসংঘ গ্লোবাল কম্প্যাক্ট উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কার্যক্রম ও ব্যবসায়িক কৌশলে ১০টি সর্বজনীন মূলনীতি মেনে চলার আহবান জানায়। এর মধ্যে রয়েছে- মানবাধিকার, কর্মক্ষেত্রে শ্রম বিষয়ক নীতিমালা, পরিবেশ সংরক্ষণ, দুর্নীতি দমন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেটলাইফ বাংলাদেশ এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও মিশেল খালাফ বলেছেন, আমাদের সকল স্টেকহোল্ডারদের জন্য আরো শক্তিশালী ভবিষ্যত গড়ে তোলার লক্ষ্যে মেটলাইফের সকল উদ্দ্যোগের কেন্দ্রে রয়েছে টেকসই কার্যক্রম। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্টে আমাদের যোগদান আগামী বছরগুলোতে আমাদের এই প্রতিশ্রুতি আরো বেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

জাতিসংঘ গ্লোবাল কম্প্যাক্টের দায়িত্ব হলো বৈশ্বিক ব্যবসায়িক সম্প্রদায়কে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া, যাতে করে প্রতিষ্ঠানগুলো দায়িত্বশীল করপোরেট অনুশীলনের বা কাজকর্মের মাধ্যমে জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রা ও মূল্যবোধকে কার্যকর রূপ প্রদান  করতে পারে।

গ্লোবাল কম্প্যাক্টের ১০টি মূলনীতি হলো: (১০) ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষিত মানবাধিকার বিষয়গুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ এবং এ ব্যাপারে সমর্থন থাকা উচিৎ। (২) মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় এমন কার্যক্রমের সাথে তাদের সম্পৃক্ত না থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

(৩) ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশনে স্বাধীনতার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা উচিৎ এবং সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলোর স্বীকৃতি প্রদান করা উচিৎ। (৪) সকল ধরনের জোরপূর্বক ও বাধ্যতামূলক শ্রমকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। (৫) শিশুশ্রম কার্যকরভাবে নিরসন করা। (৬) কাজ ও পেশা সংক্রান্ত বৈষম্য দূর করা।

(৭) পরিবেশগত চ্যালেঞ্জর ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসমূহের সতর্কতামূলক কৌশল অবলম্বন করা উচিৎ। (৮) আরো বৃহৎ পরিসরে পরিবেশের প্রতি দ্বায়িত্ব প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা। (৯) পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রসারকে উৎসাহিত করা। (১০) অন্যায্য দাবি এবং ঘুষ সহ সকল ধরনের দূনীতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ করা উচিত। 

গত সপ্তাহে মেটলাইফ বার্ষিক সাসটেইনিবিলিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ওই প্রতিবেদনে স্টেকহোল্ডারদের জন্য মেটলাইফ ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া আছে।

২০১৯ সালে প্রথম বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘ইউএন উইমেন গ্লোবাল ইনোভেশন কোয়ালিশন ফর চেঞ্জ' এর সাথে যোগদান করে মেটলাইফ এবং ২০২০ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রথম বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতিসংঘের নারীর ক্ষমতায়ন নীতিমালায় স্বাক্ষর করে মেটলাইফ।