জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ

বীমা বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে আইডিআরএ’র ৮ নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। এ লক্ষ্যে দেশের সকল লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে ৮টি নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে সংস্থাটি।

কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পরিপত্রটি রোববার (১২ মার্চ) বীমা কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহীসহ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন, ইন্স্যুরেন্স ফোরাম এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়, জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বীমা বিষয়ে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে এর সুফল জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে অনুশাসন প্রদান করেছেন। এ প্রেক্ষিতে বীমার আর্থিক উপকারিতা ও সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে কোম্পানিগুলোকে ৮টি কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আইডিআরএ’র নির্দেশনাগুলো হলো- বীমার মৌলিক ধারণা এবং বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য বিজ্ঞাপন/ ব্রশিউর/ ফ্লাইয়ার/ ভিডিও ইত্যাদি প্রস্তুত করে বেতার/ টেলিভিশন/ সংবাদপত্র/ সোস্যাল মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে প্রচার করা;

‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’ এ প্রতিপাদ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে সৃজনশীল বিজ্ঞাপন/ ভিডিও প্রস্তুত করে প্রিন্ট/ ইলেকট্রনিক/ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ/ প্রচার করা। এ ক্ষেত্রে ‘বীমা সঞ্চয় নয় বরং সম্পদ ও মানুষের জীবন জীবিকার ঝুঁকির বিপরীতে একমাত্র সুরক্ষা ব্যবস্থা’ এ বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে;

বীমাগ্রহীতাদের অধিকার এবং কর্তব্য সম্পর্কে তাদের সচেতন ও শিক্ষিত করার জন্য বেতার/ টেলিভিশন/ সংবাদপত্র/ সোস্যাল মিডিয়ায় অডিও/ ভিডিও ফরম্যাটে প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করা;

প্রত্যেক বীমাকারি তার পরিকল্প সম্পর্কে সাধারণ জনগণের জন্য সহজবোধ্য ভাষায় ব্রশিউর/ বুকলেট/ ই-নিউজলেটার প্রস্তুত করে তা নিয়মিতভাবে সোস্যাল মিডিয়াসহ অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচারের মাধ্যমে বীমাগ্রহীতাকে অবহিত করা;

বীমা দাবি নিষ্পত্তির বিভিন্ন ধাপ ব্রশিউর/ বুকলেট/ প্রচারপত্রে অন্তর্ভুক্ত করে অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;

প্রত্যেক বীমাকারিকে ‘প্রচারণা ও বিজ্ঞাপন’ খাতে বরাদ্দকৃত সকল অর্থ বীমার সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রচারণার জন্য আবশ্যিকভাবে ব্যয় করতে হবে। এ খাতের অর্থ অন্য কোন কাজে/ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না;

সকল বীমাকারিকে প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বীমা সচেতনতামূলক গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে প্রমাণকসহ একটি প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করতে হবে;

কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বীমাকারিকে ভবিষ্যতে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বীমা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত কার্যক্রমকে একটি অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে।