ক্ষুদ্রবীমার সংজ্ঞা ও বিধি প্রণয়ন জরুরি: কাজী মো. মোরতুজা আলী
বাংলাদেশে ক্ষুদ্রবীমার বিকাশ নিঃসন্দেহে দারিদ্র বিমোচনের একটি অতি সহায়ক শক্তি। ক্ষুদ্রবীমার লক্ষ্য মূলত দরিদ্র ও হত দরিদ্রদের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং বীমার মাধ্যমে কৃষক, শ্রমিক, দিন-মজুরদের সম্পদের সুরক্ষা করা।
বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর যাত্রা শুরু ও প্রসারের কারণে গ্রামাঞ্চলেও এখন বীমার প্রসার ঘটেছে। নতুন বীমা কোম্পানিগুলো গ্রামাঞ্চলে ব্যবসা করে সমৃদ্ধ হয়েছে।তবে বাংলাদেশে ক্ষুদ্রবীমার অনেক অগ্রগতি হয়েছে- এ কথাটি বলার সময় এখনো আসেনি।
ক্ষুদ্রবীমা পলিসি যত ইস্যু হয় তার অধিকাংশই আবার ঝরে পড়ে। মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত এই পলিসিগুলোর আনুমানিক ২০ শতাংশ মাত্র টিকে থাকে। নানান কারণে ক্ষুদ্রবীমার সম্ভাব্য গ্রাহকরা বীমা ক্রয়ের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক দূরাবস্থা, কম বোনাস প্রাপ্তি এবং বীমা এজেন্ট কমে যাওয়ার কারণে বর্তমানে ক্ষুদ্রবীমার ব্যবসা কমে গেছে। বীমা পলিসিতে আশানুরূপ লাভ না হওয়ার একটি কারণ হলো ক্ষুদ্রবীমায় আয়ের তুলনায় ব্যয় অন্যান্য বীমার চাইতে কিছুটা বেশি।
দেশে বীমা আইন থাকলেও ক্ষুদ্রবীমার জন্য আলাদা কোন আইন নেই। এমনকি ক্ষুদ্রবীমার কোন সংজ্ঞাও নেই। ক্ষুদ্রবীমার একটি সংজ্ঞা ও বিধি প্রণয়ন জরুরি। প্রতিবেশি দেশগুলোতে এ রকম বিধি তৈরি করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশেও এরকম বিধি তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্রবীমার সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে বিশেষ আয়োজন করেছে দেশের প্রথম এবং একমাত্র বীমা ভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি। বিশেষ আয়োজনের প্রথম পর্বে থাকছে ক্ষুদ্রবীমার ওপর একটি সাক্ষাতকার।
এবারের সাক্ষাতকার দিয়েছেন প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাবেক মূখ্যনির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. মোরতুজা আলী। যিনি দীর্ঘ দিন ধরে বীমা নিয়ে কাজ করে চলছেন। ক্ষুদ্রবীমার ওপর রয়েছে তার কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র রিপোর্টার আবদুর রহমান।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি: দেশে ক্ষুদ্রবীমা নিয়ে পৃথক কোনো আইন নেই, প্রশিক্ষিত জনবলও নেই। তাহলে ক্ষুদ্রবীমার এতটা প্রসার কিভাবে হলো?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: ক্ষুদ্রবীমার জন্য আলাদা কোন আইন নেই। এমনকি ক্ষুদ্রবীমার কোন সংজ্ঞাও নেই। ক্ষুদ্রবীমার একটি সংজ্ঞা ও বিধি প্রণয়ন জরুরি।এরইমধ্যে আমাদের প্রতিবেশি দেশসমূহে এ রকম বিধি তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশেও বিধি তৈরি করা হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে কবে নাগাদ তা তৈরি করা হবে তা আমরা জানি না।
বাংলাদেশে ক্ষুদ্রবীমার অনেক অগ্রগতি হয়েছে- এ কথাটি বলার সময় এখনো আসেনি। ক্ষুদ্রবীমা পলিসি যত ইস্যু হয় তার অধিকাংশই আবার ঝরে পড়ে বা বন্ধ হয়ে যায়। মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত এই পলিসিগুলোর আনুমানিক ২০ শতাংশ মাত্র টিকে থাকে।আর প্রথম দুই বছরের মধ্যে ৬৫ শতংশ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষুদ্রবীমা পলিসি তামাদি হয়ে যায়।
পৃথিবীতে আনুমানিক ৬০ কোটি মানুষের ক্ষুদ্রবীমা পলিসি আছে। এর মধ্যে ভারতেই ২০ কোটির ওপরে রয়েছে। বাংলাদেশে ক্ষুদ্রবীমার গ্রাহকের সংখ্যার কোন নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান নেই। কারণ কোন আইন বা বিধি দ্বারা ক্ষুদ্রবীমা আজো সংজ্ঞায়িত নয়।
তবে জনসংখ্যার তুলনায় ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে ক্ষুদ্রবীমার সংখ্যা কম। বাংলাদেশে ক্ষুদ্রবীমার প্রসার ঘটছে এর চাহিদার কারণে। আমাদের দেশে ব্যাপক জনসংখ্যার তুলনায় জীবন বীমা গ্রাহকের সংখ্যা অতি নগন্য। কারণ, অতীতে গ্রাম বাংলার সাধারণ গ্রাহকের দোরগোড়ায় বীমা সেবা পৌঁছানোর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
জীবন বীমা করপোরেশন ও আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বীমা ব্যবসা শুরুর পর প্রথম দিকে সাধারণত যারা বীমা পলিসি কিনতেন তারা ছিলেন উচ্চবিত্ত ও ধনীক শ্রেণীর এবং তারা শহর-নগরের বাসিন্দা। এসময় উপজেলা এবং গ্রামাঞ্চলের নাগরিকরা বীমা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তবে বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর যাত্রা শুরু ও প্রসারের কারণে গ্রামাঞ্চলেও এখন বীমার প্রসার ঘটেছে। নতুন বীমা কোম্পানিগুলো গ্রামাঞ্চলে ব্যবসা করে সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সেই সাথে পলিসি তামাদির সংখ্যাও বেড়েছে অনেক। সর্বপ্রথম ক্ষুদ্রবীমা চালু করেছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। অন্যান্য বীমা কোম্পানিগুলো ডেল্টা লাইফকে অনুসরণ করে ক্ষুদ্রবীমা এবং ডিপিএস বীমা চালু করেছে।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি: ক্ষুদ্রবীমার গ্রাহকরা তাদের দাবির টাকা পাচ্ছে না, এমন অভিযোগ অহরহই উঠছে, কোনো কোম্পানি দাবি দিলেও আশানুরূপ মুনাফা দিচ্ছে না, এর কারণ কি?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: গ্রাহকরা দাবির টাকা পাচ্ছে না এই অভিযোগ প্রায় সকল কোম্পানির বিরুদ্ধেই রয়েছে। তবে আমাদেরকে খতিয়ে দেখতে হবে দাবি প্রত্যাখ্যান আইনসম্মতভাবে করা হয়েছে কিনা? যদি আইনসম্মতভাবে এটা করা হয়ে থাকে তবে বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক বলে প্রতীয়মান নয়। কিন্তু বেআইনিভাবে বীমার দাবি প্রত্যাখ্যান করা হলে সেটা হবে সেই কোম্পানির জন্য অদূরদর্শী ও আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত।
কারণ মানুষ বীমা করে দাবির টাকা যথা সময়ে পাওয়ার জন্য। বীমা কোম্পানিসমূহ যদি দাবি প্রত্যাখ্যান করতেই থাকে তবে তাদের কাছে আর কেউ বীমা পলিসি ক্রয় করতে যাবে না এবং সেই বীমা কোম্পানি চূড়ান্তভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে। অতএব বিনা অযুহাতে বীমা দাবি প্রত্যাখ্যান করার কোন যৌক্তিক কারণ নেই।
বীমা পলিসির আশানুরূপ লাভ না পাওয়ার একটি কারণ হতে পারে যে ক্ষুদ্রবীমায় আয়ের তুলনায় ব্যয় অন্যান্য বীমার চাইতে কিছুটা বেশি। তবে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স একক বীমা ও ক্ষুদ্রবীমার মধ্যে কোন তারতম্য করে না এবং একই হারে বোনাস দিয়ে থাকে। অন্যান্য বীমা কোম্পানিগুলো এ দৃষ্টান্ত গ্রহণ করলে ক্ষুদ্রবীমা গ্রাহকরা অধিকতর সুবিধা পাবে।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি: ক্ষুদ্রবীমার ওপর অবাধ ক্ষুদ্রঋণ ব্যবসার কোন প্রভাব আছে কি না?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) মাধ্যমে ঋণ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তারা বীমা সেবাও দিচ্ছে। কিন্তু তারা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আইডিআরএ) কোন অনুমোদন নিচ্ছে না। এটা সাংঘর্ষিক। ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে ক্ষুদ্রবীমার অগ্রগতি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এটাকে বন্ধ করা প্রয়োজন।
ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠান ও এনজিও’গুলো বীমার সব পদ্ধতি অনুসরণ করছে যেমন- প্রিমিয়াম চার্জ করছে, দাবি পরিশোধ করছে কিন্তু তারা বীমার নীতিমালা মানছে না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। আইডিআরএ এবং মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমসিআরও) একসঙ্গে বসে আইনের বৈপরিত্যগুলো দূর করার চেষ্টা করা প্রয়োজন।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি: ২০০৯ সালে আপনি যখন বাংলাদেশের ক্ষুদ্রবীমা নিয়ে গবেষণা করলেন তখন বেশ কিছু সমস্যা ও সম্ভবনার কথা তুলে ধরেন। এখন এর বাস্তবতা কেমন?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: ২০১১ এর পর থেকে বাংলাদেশের বীমা বাজারে বিশেষ করে জীবন বীমার ক্ষেত্রে বীমা ব্যবসা কমে গেছে। এর একটি বড় কারণ হলো- ক্ষুদ্রবীমার সম্ভাব্য গ্রাহকরা বীমা ক্রয়ের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
ক্ষুদ্রবীমা গ্রাহক কম হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক দূরাবস্থা, কম বোনাস প্রাপ্তি ও বীমার এজেন্টদের সংখ্যা কমে যাওয়া। এছাড়া ডেসটিনি, যুবক ও ইউনি-পে-টু কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের কারণে বীমা কোম্পানিগুলোকেও সেরকম সমিতি মনে করায় গ্রাহকদের আস্থা কমে গেছে।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি: বাংলাদেশের মাইক্রো-তাকাফুল ব্যবসা ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে মাইক্রো-তাকাফুল ব্যবসার মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: বাংলাদেশের মাইক্রো-তাকাফুল ব্যবসার সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য দেশে মাইক্রো-তাকাফুল ব্যবসার মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। তবে অন্য দেশগুলোতে এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনা আছে, নীতিমালা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে ক্ষুদ্রবীমা এবং মাইক্রো-তাকাফুল এর ওপর কোন বিধিমালা নেই। যার কারণে আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে না।
বাংলাদেশ মুসলিম দেশ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মাইক্রো-তাকাফুলের প্রতি এদেশের মানুষের আগ্রহ বেশি। যদি ইসলামি শরীয়া অনুসারে বীমা পরিচালিত হয় তাহলে গ্রাহক বাড়বে। এতে করে দেশের অর্থনীতিতেও অগ্রগতি আনবে। কারণ অনেকে বীমাকে অনৈসলামিক মনে করে পলিসি কিনতো না। তাকাফুল থাকায় এখন তারাও বীমা পলিসি কিনতে শুরু করেছে।
তাকাফুল ও মাইক্রো তাকাফুল ব্যবসা একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের বোধ ও বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অন্যদিকে বীমা বাজার সম্প্রসারণেও অত্যন্ত সায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্ষুদ্রবীমা পণ্যের ধরণ ও এর পরিধি কেমন হওয়া উচিত?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: বিশ্বের অনেক দেশে ক্ষুদ্রবীমার যেসব পলিসি আছে বাংলাদেশে এখনো সেগুলোর প্রয়োগ ঘটেনি। তাই ক্ষুদ্রবীমা আশানুরূপ অগ্রগতি লাভ করছে না। মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের বীমা দেয়া শুরু করেছে। সবাইকে বীমার আওতায় আনার ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করছে।
এভাবে কৃষকদের জন্য বীমা সুবিধা দিতে সার ও সরঞ্জমাদি প্রস্তুত কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসতে পারে। প্রাইভেটকার থেকে শুরু করে সব ধরণের যানবাহনে তেল সরবরাহকারি ডিলাররাও তাদের গ্রাহকদের জন্য বীমা সুবিধা দিতে পারে। শপিংমলের মালিকরাও তাদের ক্রেতাদের জন্য ডিসকাউন্ট বা ছাড় না দিয়ে বীমা সুবিধা দিতে পারে। এভাবে সব ক্ষেত্রেই বীমা সুবিধা দেয়া শুরু হলে দেশের সার্বিক অর্থনীতি আরো এগিয়ে যাবে।
ক্ষুদ্রবীমার ক্ষেত্রে সাধারণত মাসিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়। তবে সাপ্তাহিক বা পাক্ষিকও হতে পারে। এছাড়াও বীমা অংক বা প্রিমিয়াম হারের পরিমাণ সীমার মধ্যে ধরেও ক্ষুদ্রবীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে গরীব জনগোষ্ঠির সর্বনিম্ন আয়ের গড়পড়তার ওপর নির্ভর করে ক্ষুদ্রবীমার প্রিমিয়ামের পরিমাণ নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি: দারিদ্রবিমাচনে বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রবীমার গুরুত্বকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
কাজী মো. মোরতুজা আলী: ক্ষুদ্রবীমার বিকাশ নিঃসন্দেহে দারিদ্র বিমোচনের একটি অতি সহায়ক শক্তি। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও বীমা ব্যবস্থার মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম আয়ের লোকদের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি মোকাবেলায় একটি পরীক্ষিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। ক্ষুদ্রবীমার লক্ষ্য মূলত দরিদ্র ও হত দরিদ্রদের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং বীমার মাধ্যমে কৃষক, শ্রমিক, দিন-মজুরদের সম্পদের সুরক্ষা (ক্ষতি পূরণের মাধ্যমে) করা।
ক্ষুদ্রবীমার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করা। স্বাভাবিকভাবে সরকারের ও নীত নির্ধারকদের উচিত ক্ষুদ্র বীমার মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম আয়ের লোকদের দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা পালনে কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা। সরকারের পক্ষে এই দায়িত্ব পালন সম্ভব হবে যদি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে একটি ‘ধারণাপত্র’ সরকারের নিকট পেশ করে এবং ক্ষুদ্রবীমার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন বিধি বা প্রবিধান প্রণয়নে উদ্যোগী হয়।