মৌলিক ৩ ঝুঁকি মোকাবেলায় অগ্নি বীমা
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: অগ্নি বীমার মাধ্যমে সাধারণত তিনটি মৌলিক ঝুঁকি অবরিত করা হয়। সেগুলো হলো- আগুনের ঝুঁকি; বজ্রপাত এবং ৩) বিস্ফোরণ।
অতিরিক্ত প্রিমিয়াম প্রদান এবং বীমা কোম্পানির সম্মতি সাপেক্ষে বেশ কিছু ঝুঁকি যা Allied perils নামে পরিচিত, যেমন- দাঙ্গা, ধর্মঘট, বিদ্বেষপূর্ণ ক্ষতি, ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদি ঝুঁকি ক্রয় করা সম্ভব হতে পারে।
অগ্নি বীমায় যে সকল সম্পত্তি অবরিত করা হয় তার মধ্যে রয়েছে- ভবন, স্টক, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, আসবাবপত্র, ফিক্সচার এন্ড ফিটিংস ইত্যাদি।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ভবনের বেলায় ভবনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা (Reinstatement) মূল্যের উপর ভিত্তি করে বীমা করা হয়।
পুনঃপ্রতিষ্ঠা শর্ত অনুযায়ী প্রতিবছর অগ্নি বীমা পলিসি নবায়নের সময় ভবনের পুনঃপ্রতিষ্ঠা মূল্য ঘোষণা করতে হয়, তা না হলে Under Insurance এর সম্ভাবনা থেকে যায়।
যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম এবং আসবাবপত্র, ফিক্সচার এন্ড ফিটিংস এর বেলায় অবচয় মান (Depreciation value) এর উপর ভিত্তি করে বীমা দাবি নিষ্পত্তি করা হয়।
অগ্নি বীমা পলিসিতে একটি বিশেষ শর্ত জুড়ে দেয়া হয় যা গড় শর্ত (Average condition) নামে পরিচিত। এই শর্তটির বিশেষ তাৎপর্য হচ্ছে এই যে, এর মাধ্যমে আন্ডার ইন্স্যুরেন্স মোকাবেলা করা সম্ভব।
দাবি নিষ্পত্তির বেলায় আন্ডার ইন্স্যুরেন্সের সমানুপাতে ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস বা কমানো হয়ে থাকে। এতে করে বীমা গ্রাহক প্রকৃত ক্ষতির মূল্যের চেয়ে কম পরিমাণ টাকা পেয়ে থাকে অর্থাৎ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।