মহিলাদের জীবন বীমা
বীমা বিষয়ে একটি পাঠক সমাদৃত বই “যে ব্যবসা সম্মানের যে ব্যবসায় মূলধন লাগে না”। ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত বইটি লিখেছেন বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি)’র প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এম এ সামাদ। ১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে সম্মানসহ বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। অল ইন্ডিয়া রেডিও’তে কর্মজীবন শুরু হলেও ১৯৫১ সাল থেকে তিনি বীমাকে সার্বক্ষণিক পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন।বাংলাদেশের বাইরে বীমার ওপর অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সেমিনারে তিনি যোগদান করেন। ইউএনডিপি’র ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সফর করেছেন এম এ সামাদ। ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র পাঠকদের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে এম এ সামাদ’র এই বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাবে হুবহু তুলে ধরা হলো। আজ থাকছে “মহিলাদের জীবন বীমা”।
শিক্ষিতা ও উপার্জনশীল মহিলার সংখ্যা আমাদের এদেশে এখনও অনেক কম; এছাড়া আমাদের দেশে মহিলাদের মৃত্যুপঞ্জির হারও অনেক বেশি; কারণ আমাদের দেশে উপযুক্ত চিকিৎসা এবং যথেষ্ট সংখ্যক প্রসূতি কেন্দ্রের অভাবে অনেক স্ত্রীলোক অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সন্তান প্রসবের সময় কিংবা পুষ্টিযুক্ত খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে সন্তান প্রসবের পর অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হন। এসব কারণে আমাদের দেশে মহিলা বীমা প্রস্তাবকারীর সংখ্যা এখনো তেমন ব্যাপকতা লাভ করেনি; তবে এদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কতগুলো শর্তে আমাদের দেশে মহিলাদের জীবন বীমার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। শিক্ষিতা এবং উপার্জনশীল মহিলাদের জন্য কোন অতিরিক্ত প্রিমিয়াম দিতে হয় না। অন্যান্য ক্ষেত্রে মহিলাদের অতিরিক্ত প্রিমিয়াম দিতে হয় এবং কতগুলো পূর্বশর্ত পালন করতে হয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোন মহিলারই জীবন বীমা বিবেচনা করা হয় না। প্রসবের ৩ মাস সময় অতিবাহিত হওয়ার আগেও কোন প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় না। মহিলাদের প্রস্তাব গ্রহণ করার আগে বীমা কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিতে হয়। এর জন্য নির্ধারিত ফরমে মহিলা প্রস্তাবকারীকে আবেদন করতে হয়। মহিলাদের কোন প্রস্তাব পাঠানোর আগে জীবন বীমা প্রতিনিধি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেবেন।