প্রাইভেট মটরগাড়ি বীমা ট্যারিফের দুর্বলতা প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: সম্পত্তির প্রকৃত বা বীমাযোগ্য মূল্যের চেয়ে কম বা নিম্ন মূল্যে বীমা করাকে বীমার ভাষায় “আন্ডার ইন্স্যুরেন্স” বলা হয় যা বীমা নীতির পরিপন্থী।

এই রীতি বা অভ্যাস যে কারণে গ্রহণযোগ্য নয় তা হলো- এটি এক ধরনের অপরাধমূলক কাজ, যা বীমাগ্রহীতাকে অন্যায় কাজে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে। এর ফলশ্রুতি হিসেবে বীমাকারী ন্যায্য/প্রাপ্য প্রিমিয়িাম অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়, যা এক প্রকার প্রতারণার শামিল।

এই ধরনের অপরাধমূলক প্রবণতাকে নিরুউৎসাহিত করার জন্য এবং বীমাগ্রহীতাকে আর্থিকভাবে শাস্তি প্রদানের জন্য অগ্নিবীমায় “এভারেজ কন্ডিশনের” প্রবর্তন করা হয়েছে।

দৃষ্টান্তস্বরূপ ধরা যাক, প্রাইভেট মটরগাড়ি (কম্প্রিহেনসিভ) কাভারের বেলায় সম্পূর্ণ নতুন এবং রিকন্ডিশন গাড়ির প্রকৃত মূল্য যথাক্রমে ১ কোটি টাকা এবং ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু বীমাগ্রহীতা প্রিমিয়াম বাঁচানোর জন্য গাড়ির মূল্য যথাক্রমে ৫০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ টাকা ঘোষণা দিয়ে বীমা পলিসি ক্রয় করলো।

এর ফলে বীমাকারী উভয় ক্ষেত্রেই প্রকৃত প্রিমিয়ামের শতকরা ৫০ ভাগ প্রিমিয়াম অর্জন করা থেকে বঞ্চিত হল। অপরপক্ষে বীমাগ্রহীতা সমপরিমাণ প্রিমিয়াম বাঁচাতে সক্ষম হল।

কিন্তু আংশিক ক্ষতির বেলায় বিশেষ করে গ্লাস আইটেমস যেমন উইন্ড শিল্ড (Wind Shield), সাইড মিরর (Side mirror), ডোর গ্লাস/ উইন্ডোস (Door Glass/Windows) ইত্যাদি দুর্ঘটনায় ভেঙ্গে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বর্তমানে প্রাইভেট মটরগাড়ি বীমা পলিসিতে “আন্ডার ইন্স্যুরেন্স” শর্ত না থাকার কারণে বীমাকারীকে অর্ধেক ক্ষতির টাকা পরিশোধের পরিবর্তে ১০০% বীমা দাবি পূরণ করতে হয়।

এ ব্যাপারে বীমা উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।