বীমাখাতে বেতন কাঠামো এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) আজ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বীমাখাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো নিয়ে কাজ শুরু করেছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আজ অবধি বীমা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কতটা অগ্রগতি সাধন করেছে সেটা জানা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে এই পত্রিকায় অতীতে বেশ কয়েকবার লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বীমা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করায় বীমাখাতে কর্মরত লাখ লাখ কর্মচারীর মাঝে এক প্রকার চাপা ক্ষোভ এবং হাতাশা বিরাজ করছে।
স্বাভাবিকভাবেই যে প্রশ্নটি সামনে উঠে এসেছে, সেটি হচ্ছে বীমা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আদৌ কী কোন অগ্রগতি অর্জন করেছে? যদি তা না হয়ে থাকে তবে প্রতিবন্ধকতা কোথায় আশা করি সেটা জানার অধিকার সংশ্লিষ্ট বীমা কর্মচারীদের রয়েছে।
এ কথা বললে মোটেই অত্যুক্তি হবে না যে, বীমাখাতে ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আর সেই প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আসতে হবে বীমা কর্তৃপক্ষের হাত ধরে। তাদের কৃতকার্যতা এবং ব্যর্থতা এই দুইয়ের ওপর নির্ভর করছে বীমা শিল্পের ভবিষ্যৎ।
এ কথা বলাই বাহুল্য যে, বীমাখাতে প্রচণ্ডরকম দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এ সত্যটি স্বীকার করলে বর্তমান পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। অন্যথায় বীমার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাতের বর্তমান নৈরাজ্যজনক অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। আর সেটা বীমা শিল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য মোটেই কাম্য নয়।
বীমা কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনে যথাযথভাবে সচেষ্ট হবে এমনটাই তাদের কছে সবার প্রত্যাশা। আর এর সাথেই জড়িয়ে আছে তাদের নির্ভরযোগ্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার মতো গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় প্রশ্ন।
লেখক: জেনারেল সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স প্রফেশনালস সোসাইটি (বিআইপিএস) ।