অগ্নি বীমার কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: অগ্নি বীমায় বেশ কিছু বিষয় রয়েছে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র পাঠকদের জন্য আজকের আলোচনায় থাকছে অগ্নি বীমার এই কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আনুমানিক সর্বাধিক ক্ষতির হিসাব বা গণনা (Estimated Maximum Loss-EML):

আনুমানিক সর্বাধিক ক্ষতির হিসাবের ক্ষেত্রে আকস্মিক মহাদুর্যোগজনিত ক্ষতি বিবেচনা করা হয় না, শুধুমাত্র একক দুর্ঘটনা থেকে সৃষ্ট ক্ষতির হিসাব বিবেচনা করা হয়। তবে বিভিন্ন উপাদান সমূহ যা ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে সাহায্য করে তা বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যেমন-

১) দমকল বাহিনীর আগুন নিভানোর জন্য সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছানো

২) আগুন নিভানোর জন্য পর্যাপ্ত এবং নির্ভরযোগ্য পরিমাণ পানির প্রাপ্যতা

৩) আগুন শনাক্তকরণের জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বা সুবিধা ইত্যাদি

নিম্নলিখিত উপাদানসমূহ এই হিসাবের বহির্ভূত বলে বিবেচনা করা হয়-

১) আগুন প্রতিরোধক দেয়াল বা অগ্নি প্রতিরোধক দরজার উপস্থিতি

২) একের অধিক আগুনের উৎস বা সিট

৩) আগুন নিভানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় স্প্রিঙ্কলার ব্যবস্থা ইত্যাদি।

সম্ভাব্য সর্বাধিক ক্ষতির হিসাব বা গণনা (Probable Maximus Loss-PML):

এটি আনুমানিক সর্বাধিক ক্ষতির হিসাব বা গণনার একটি রক্ষনশীল পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আগুন নির্ণয় এবং আগুন প্রতিরোধের সুবিধা বা ব্যবস্থা বিবেচনায় নেয়া হয় না বা অগ্রাহ্য করা হয়।

ঝুঁকি পরিদর্শন (Risk Survey):

ঝুঁকি পরিদর্শন ব্যবস্থা বিশেষ করে সম্পত্তি বীমার বেলায় অধিক প্রযোজ্য। বীমা প্রস্তাবপত্রে বর্ণিত তথ্য থেকে থেকে অনেক সময় ঝুঁকি সম্বন্ধে পুরোপুরি ধারণা করা সম্ভব নয়। জটিল এবং অপেক্ষাকৃত বৃহত্তর ঝুঁকির ক্ষেত্রে সাধারণত বীমা কোম্পানি সরেজমিন পরিদর্শন এর জন্য নিজস্ব প্রতিনিধি বা ভাড়াকৃত অভিজ্ঞ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন পরিদর্শকের সহায়তা গ্রহণ করে থাকে।

ঝুঁকির অবস্থানে ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ (Loss Control at Site):

ঝুঁকি পরিদর্শক অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকি পরিদর্শন প্রতিবেদনে ঝুঁকির উন্নতি সম্পর্কিত বিভিন্ন সুপারিশ দিয়ে থাকে, যেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বীমা প্রস্তাবকারীকে পালন করার মাধ্যমে বীমাকারী ঝুঁকিতে অংশগ্রহণের সম্মতি প্রদান করে থাকে।