সরকারিভাবে স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তন এখন সময়ের দাবি
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম।
কথায় বলে ‘স্বাস্থ্যই সম্পদ’।
দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির মানুষ অর্থাৎ গরীব সম্প্রদায় উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। অপরদিকে দেশের ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাত ১৮ কোটি মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে অসমর্থ।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির একটি ভালো অংশ ব্যয় করা হয়। অথচ বাংলাদেশে তার পরিমাণ যথসামান্য।
বর্তমানে দেশের বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যসেবার জন্য ব্যক্তিগত অর্থায়নের উপর নির্ভরশীল, যা তাদের জন্য একটি বড় আর্থিক বোঝা তৈরি করে।
সরকারিভাবে স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তনের মাধ্যমে এই আর্থিক বোঝা হ্রাস করা যেতে পারে এবং একটি টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে।
যার নজির আমরা দেখতে পাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। সেইসব দেশে সরকারি উদ্যোগে স্বাস্থ্য বীমার প্রচলন করা হয়েছে।
অপরদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক দুর্নীতি এবং সরকারের অনিহা এই খাতকে ক্রমশ দুর্বল করে তুলছে। সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত।
গরীব, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ যেন এক প্রকার সোনার হরিণের মতো ব্যাপার।
বেসরকারি চিকিৎসাখাত এতটাই ব্যয়বহুল যে গরিব সম্প্রদায় এর ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে আর্থিকভাবে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে।
সরকারের অদক্ষতা এবং নিয়ন্ত্রণের অভাবে বেসরকারি চিকিৎসাখাত মানবসেবার নামে টাকা বানানোর এক মহা উৎসবে মেতে উঠেছে। অবশ্যই এর লাগাম টেনে ধরতে হবে।
আশাকরি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির স্বার্থের কথা চিন্তা করে সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কারণ, দেশে সরকারিভাবে স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তন এখন কেবলমাত্র সময়ের দাবি।