সরকারি বীমা প্রকল্পে প্রতারণার অভিযোগ, ৯ স্থানে সিবিআই’র তল্লাশি
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি গ্রুপ স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় ভারতের ৯টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান সংস্থা (সিবিআই) ।
বুধবার (১৭ মে) সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বাসভবনসহ ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লির বিভিন্ন স্থানে এই তল্লাশি চালানো হয় বলে জানিয়েছেন সিবিআই কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সরকারি বীমা প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের সাক্ষী হিসেবে গত ২৮ এপ্রিল সত্যপাল মালিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক মাসের মধ্যে এমন পদক্ষেপ নিল রাষ্ট্রীয় সংস্থা সিবিআই।
এর আগে বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর, গোয়া এবং মেঘালয়ে তার গভর্নেটরীয় দায়িত্ব শেষ করার পরে গত বছরের অক্টোবরে তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়।
সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালে একটি বীমা কোম্পানির চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিলেন সত্যপাল মালিক। আর সেই বীমা কোম্পানির মালিক ছিলেন শিল্পপতি অনিল আম্বানি।
এ ঘটনায় দায়েকৃত এফআইআর-এ রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের নাম উল্লেখ করেছিল সিবিআই। সেই সঙ্গেই ট্রিনিটি রি-ইন্স্যুরেন্স ব্রোকারদের অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ওই চুক্তিতে কাশ্মীরের সরকারি কর্মী ও তাদের পরিবারের বীমা করানোর কথা ছিল। কিন্তু সেই বীমা প্রকল্পে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন সত্যপাল মালিক। সেটা নিয়েই এবার সিবিআই তদন্তের অবতারণা।
সত্যপাল মালিক দাবি করেছিলেন, ২৩ আগস্ট ২০১৮ এবং ৩০ অক্টোবর ২০১৯ এর মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর হিসেবে তার মেয়াদকালে দু’টি ফাইল অনুমোদন করার জন্য তাকে ৩০০ কোটি রুপী ঘুষের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কর্মীকে এই বীমার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এটি শুরু হয়েছিল।
কিন্তু এক মাসের মধ্যে তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক এটা বাতিল করে দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের কর্মীরাই চান এটা বাতিল করা হোক। কারণ এর মধ্যে দুর্নীতি রয়েছে। (সূত্র: দি হিন্দু, হিন্দুস্তানটাইমস)