ব্যাংকাস্যুরেন্স বিক্রি কমেছে ভিয়েতনামে
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভিয়েতনামের বেশ কয়েকটি ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ব্যাংকাস্যুরেন্স বিক্রি কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। এমনকি আসন্ন নতুন বছরেও এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
দেশটির বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কঠোর নজরদারি এবং ভুল-বিক্রি বা চাপে পড়ে বীমা ক্রয়ের বিষয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের ফলশ্রুতিতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভিয়েতনামের যে কয়টি ব্যাংক ২০২৩ সালের ৩য় ত্রৈমাসিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার মধ্যে মাত্র ৮টি ব্যাংক তাদের বীমা কার্যক্রম থেকে আয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে।
পেট্রোলিমেক্স গ্রুপ কমার্শিয়াল জয়েন্ট স্টক ব্যাংক বা পিজি ব্যাংক এই আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের বাইরে রয়েছে। ব্যাংকগুলোর বীমার প্রিমিয়াম আয় রেকর্ড পরিমাণ কমেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ডাউটু অনলাইন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে বছরের প্রথম নয় মাসে আটটি ব্যাংক সর্বমোট ৯ হাজার ৪০৯ বিলিয়ন ভিয়েতনামী ডলার বা ৩৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬.১০ শতাংশ কম।
এর আগে চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি এমনই ছিল; সে সময় ব্যাংকগুলো বীমার প্রিমিয়াম আয় আগের বছরের তুলনায় ২৪.২০ শতাংশ কমে যাওয়ার রেকর্ড করেছিল।
ভিয়েতনামের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক এমবি, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ৫ হাজার ৯৮৯ বিলিয়ন ভিয়েতনামী ডলার বীমা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে; যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬.৯০ শতাংশ কম।
সিএব্যাংক-এ, বীমা গত বছর ব্যাংকটির পরিষেবা আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ হিসেবে গণ্য হয়েছে। অথচ এ বছর প্রথম নয় মাসে ক্রমবর্ধমানভাবে, বীমা ব্যবসা ব্যাংকটির সেবা আয়ের ৯ শতাংশ।
ব্যাংকাস্যুরেন্স কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বিক্রয় কৌশল নিয়ে গ্রাহকদের অজস্র অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বীমা এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম সংক্রান্ত নীতিমালা আরো কঠোর করেছে।
গ্রাহকদের বীমা পলিসিতে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোর বীমা পরামর্শ প্রক্রিয়ার ওপর একটি ভিডিও রেকর্ডিং নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে প্রদান করতে বলা হয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলোও গ্রাহকদের বীমা পলিসি বিস্তারিত বোঝার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।
এ ছাড়াও গ্রাহকদের সুরক্ষায় ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের অর্থ প্রদান সম্পন্ন হওয়ার আগে এবং পরে অন্তত ৬০ দিনের মধ্যে বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট বীমার বিষয়ে কোন প্রকার সুপারিশ, পরিচিতি, বিক্রয় প্রস্তাব বা পরামর্শ প্রদানের আয়োজন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।