আস্থা ফেরাতে গ্রাহকের দাবি পরিশোধকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি: ফকরুল ইসলাম
বীমা দাবি পরিশোধ করার মধ্য দিয়েই গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছি। দাবি পরিশোধকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রিমিয়াম আয় বাড়ানোর মাধ্যমে কোম্পানির আর্থিক ভিত শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমাদের প্রিমিয়াম আয় গেলো বছরগুলোর তুলনায় বেড়েছে। সবমিলিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছি।
ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র সাথে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে এসব কথা বলেন বীমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম। গত ১৫ মে পদ্মা ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ফকরুল ইসলাম। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি'র সম্পাদক ও প্রকাশক মোস্তাফিজুর রহমান টুংকু।
ফকরুল ইসলাম বলেন, দেশের লাইফ বীমা খাতে খুবই একটা খারাপ পরিস্থিতি যাচ্ছে। আমরা একটা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। পদ্মা ইসলামী লাইফ এর আগে যাদের মালিকানায় ছিল তাদের সময় অনেক সমস্যা ছিল। এরপর পদ্মা ইসলামী লাইফ এস আলম গ্রুপের হাতে আসে।
এস আলম গ্রুপ অন্যান্য খাতে সফল ব্যবসায়ী। লাইফ বীমা খাতে আমরা সেরা অবদানটি রাখতে চাই। তবে সেটার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি দাবি পরিশোধকে। এ বছর যে পরিমাণ দাবি আমরা পরিশোধ করেছি তার সুফল আমরা পাচ্ছি। মাঠ কর্মীদের মাঝে আস্থা ফিরে আসছে। আমাদের প্রিমিয়াম আয় বাড়ছে। নবায়ন সংগ্রহ আগের চেয়ে ভালো। আমরা গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে চাই। একটা ভঙ্গুর অবস্থা থেকে রাতারাতি ঘুরে দাঁড়ানো যায় না। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
পদ্মা ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান বলেন, ২০২১ সালে আমরা সাড়ে ১০ হাজার গ্রাহকের ২৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার দাবি পরিশোধ করেছি। আমি দায়িত্ব নিয়েছি গত মে মাসে। এরপর গেল ৪ মাসে আমরা ৭ হাজার গ্রাহকের ৩০ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করেছি। এ বছরে ইতোমধ্যেই আমরা ১৪ হাজার গ্রাহকের ৪৩ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করেছি। অর্থাৎ আগের বছরগুলোর তুলনায় দাবি পরিশোধের এ পরিস্থিতি ইতোমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে আস্থা ফিরিয়ে আনছে। এর ফলাফল আমরা পাচ্ছি।
ফকরুল ইসলাম বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে আমাদের প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ১ কোটি ৩১ লাখ। আর এ বছর একই সময়ে (অক্টোবর- ২০২২) আমাদের প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়েছে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এছাড়া গ্রুপ বীমাতে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। গেলো অক্টোবরে গ্রুপ বীমা থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয় প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্র বাড়ছে। কোভিড- ১৯ আমাদের একটা বড় ধাক্কা ছিল। এরপরও সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের আগ্রহ কমেনি। কিন্তু তারা আস্থার সাথে সঞ্চয় করতে চায়। আমি বিশ্বাস করি দেশের লাইফ বীমা খাত নানা কারণেই যে সংকটের মধ্যে রয়েছে তা থাকবে না। কেটে যাবে। আমরা সেই জায়গাটিতে কাজ করতে চাই। পদ্মা লাইফ যাতে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে লাইফ বীমায় সঞ্চয়ে আগ্রহী করে তুলতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।