বীমা খাতের উন্নয়নে নতুন কোন উদ্যোগ নেই বাজেটে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’ শিরোনামে এই বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তবে এবারের বাজেটেও দেশের বীমা খাতের উন্নয়নে নতুন কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বিগত কয়েক অর্থবছরের বাজেটেও ছিল না নতুন কিছু। করপোরেট কর হারসহ বিভিন্ন ধরণের ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর যেসব দাবি করে আসছেন বীমা মালিকরা তার বাস্তবায়নও নেই দেশের বৃহৎ এই বাজেটে।
নতুন অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী জানান, বীমা সেবাকে জীবনমুখী ও আপদ মোকাবেলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচনে শস্য বীমা, গবাদি পশু বীমা, সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালুর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশেষ করে, শস্য বীমা চালু ও এর ব্যাপক প্রসারের জন্য সরকার উৎসাহ প্রদান করছে। এছাড়া, বীমার দাবি আদায় বিড়ম্বনা মুক্ত করার লক্ষ্যে বীমা খাতকে সম্পূর্ণ অটোমেশন করার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বীমার আওতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদারকরণ ও জাতীয় সঞ্চয়ে অবদান রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
জাতীয় সামাজিক বীমা স্কিমের বিষয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশে জাতীয় সামাজিক বীমা কর্মসূচি চালুর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল সোস্যাল ইন্স্যুরেন্স স্কিম’ বিষয়ে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে, যাতে দেশে চার ধরনের সামাজিক বীমা ক্রমান্বয়ে চালুর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে- বেকারত্ব বীমা, ম্যাটারনিটি বীমা, অসুস্থতাজনিত বীমা এবং এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি বীমা। তন্মধ্যে কর্মক্ষেত্রে আঘাতজনিত ক্ষতি হতে শ্রমিকদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিমের একটি পাইলট চালুর লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এদিকে প্রতি বছরই প্রাক বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন ভ্যাট ও ট্যাক্সের পরিমাণ কমানোর দাবি উত্থাপন করে আসছে বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) । বীমা খাতের উন্নয়নে সংগঠনটি গেলো অর্থবছরের বাজেটেও ৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করে। বিআইএ’র এসব প্রস্তাবের মধ্যে ছিল-
পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের কমিশনের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার; লাইফ বীমা গ্রাহকের মুনাফার ওপর থেকে ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহার; করপোরেট কর হার নন-লাইফ বীমায় ৩৫ শতাংশ এবং লাইফ বীমায় ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব; বীমা এজেন্টদের কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম ট্যাক্স পরিশোধের বিধান দুই বছরের জন্য স্থগিত এবং স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার।