জেনিথ লাইফের কোন বীমা দাবি পেন্ডিং নেই: এস এম নুরুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কোন বীমা দাবি পেন্ডিং নেই বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান। আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে কোম্পানিটির অর্ধ-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান। জেনিথ ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৩ কোটি ৭১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭১ টাকার বিভিন্ন ধরণের বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। এর ফলে বর্তমানে আমাদের কোন দাবি পেন্ডিং নেই।

তিনি বলেন, গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে আমরা ২৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এফডিআর করতে সক্ষম হয়েছি। এ ছাড়াও বীমা গ্রাহকদের ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৯ টাকা পলিসি লোন দেয়া হয়েছে।

জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী বলেন, আমাদের কোম্পানির ৯০ শতাংশ কার্যক্রম ইআরপি সল্যুশন মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের ৯৯ শতাংশ কার্যক্রম পেপারলেস করার চিন্তা আছে। বীমা আইনে ৯০ দিন থাকলেও আমরা মাত্র ৭ কর্মদিবসের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধ করে আসছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলা ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে বীমা কোম্পানির মধ্যে আমরাই প্রথম বাংলায় ওয়েবসাইট চালু করি এবং গ্রাহকের সুবিধার জন্য বাংলায় অ্যাপসও চালু করেছি। আমাদের প্রত্যেকটি অফিসে অনলাইনে পিআর কাটা হয় এবং গ্রাহক সাথে সাথে এসএমএস পায়।

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা এ বছর বোর্ড প্রদেয় লক্ষ্যমাত্রা ১ম বর্ষ ও নবায়ন টার্গেট শতভাগ অর্জন করবো ইনশা-আল্লাহ। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখে কক্সবাজারে আমাদের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সক্ষমতা আছে বলেই বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ২৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর গ্রুপ বীমার চুক্তি করেছে। ইতোমধ্যে আমাদের কোম্পানির সাড়ে ৪ কোটি টাকার প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ক্রেতা হিসেবে রয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স।

জেনিথ ইসলামী লাইফের এই মুখ্য নির্বাহী বলেন, এ বছর আমাদের ওমরা (ডিজিএম থেকে), নেপাল ভ্রমণ (এজিএম), কক্সবাজার ও চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড সার্কুলার দেয়া আছে। ডেফার্ড ও নবায়ন প্রিমিয়ামের টাকা গ্রাহকরা নগদ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিলে আমাদের অফিস থেকে আর রশিদ নিতে হবে না, তা সরাসরি গ্রাহকের পলিসি হিসাবে জমা হবে।

এ ছাড়াও বীমা গ্রাহকরা কোম্পানির ১৪টি ব্যাংক একাউন্টে তার প্রিমিয়াম জমা দিতে পারেন। বিকাশ, রকেট ও কোম্পানির নামে একাউন্ট পেয়ী চেকের মাধ্যমেও টাকা জমা দিতে পারেন। বর্তমানে আমাদের গ্রাহকদের বীমা দাবির (এসবি) টাকা বিইএফটিএন’র মাধ্যমে তাদের ব্যাংক হিসাবে সরাসরি জমা হচ্ছে। 

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের এফএ থেকে সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মীদের গ্রুপ ও হেলথ বীমার সুবিধা দেয়া শুরু করেছি সামান্য প্রিমিয়ামের বিপরীতে।

তিনি বলেন, বেকারত্ব বিমোচনে বীমার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করছি। এতিম ও বিধবা মায়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কাজ করছি। মানুষ পারে না এমন কোন কাজ পৃথিবীতে নেই, মানুষ হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাত। আজকের মানুষ চাঁদে গেছে, মঙ্গল গ্রহে চলে গেছে, আমরা মানুষ।

কোম্পানির বীমা কর্মীদের উদ্দেশ্যে এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আপনারা কখনো মিথ্যা কথা বলে, প্রতারণা করে কোন বীমা পলিসি বিক্রি করবেন না। বীমা পলিসি চালাতে পারবে না বা নবায়ন আসবে না, এমন ব্যক্তিকে বীমা পলিসি করাবেন না। আমাদের পরিচালকমন্ডলীর পক্ষ থেকে আমাদেরকে স্বচ্ছভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া আছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব তাড়াতাড়ি আইপিও’তে যাওয়ার জন্য, এ জন্য নবায়ন ব্যবসার প্রতি আমাদের জোর দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।