আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে সন্ধানী লাইফের
নিজস্ব প্রতিবেদক: নবায়ন প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি ও ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরায় আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির। সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২৩ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে সন্ধানী লাইফের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
ব্যবসা সমাপনী হিসাব অনুসারে ২০২৩ সালে সন্ধানী লাইফের ২৪২ কোটি ১৩ লাখ টাকা মোট প্রিমিয়াম আয়ে উদ্বৃত্ত হয়েছে ১৬৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আর ২০২২ সালে ২৩৯ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয়ে উদ্বৃত্ত হয়েছিল ১৫৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অপর দিকে উদ্বৃত্ত টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৩ সালে ২৪২ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রিমিয়াম আয় করতে সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যয় করেছে ৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যা মোট প্রিমিয়াম আয়ের ৩০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
আগের বছর ২০২২ সালে কোম্পানিটি ২৩৯ কোটি টাকা মোট প্রিমিয়াম আয় করতে ব্যয় করেছিল ৮৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। যা মোট প্রিমিয়াম আয়ের ৩৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
অর্থাৎ মোট প্রিমিয়াম আয়ে ২০২২ সালের তুলনায় ব্যয় কমেছে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
অপর দিকে ২০২৩ সালে মোট নবায়ন প্রিমিয়াম আয় করেছে ১৬৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। নবায়ন প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
২০২৩ সালে সন্ধানী লাইফের সংগৃহীত সর্বমোট ২৪২ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রিমিয়ামের মধ্যে ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম ৭২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং নবায়ন প্রিমিয়াম ১৬৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এর আগে ২০২২ সালে কোম্পানিটি সর্বমোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে ২৩৯ কোটি টাকা। যার মধ্যে মোট ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং নবায়ন ১৫০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
বীমা দাবি পরিশোধের কারণে লাইফ ফান্ড কমে যাওয়ার হারও কমেছে সন্ধানী লাইফের।
২০২৩ সালে কোম্পানিটি ২০২০ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করেছে, লাইফ ফান্ড কমেছে ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২২ সালে ছিল ৩৪ কোটি ৫ লাখ টাকা।
সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছরের সন্ধানী লাইফের লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ৭১০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২২ সালে ছিল ৭২২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
সন্ধানী লাইফের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৭৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতে বিনিয়োগ রয়েছে ৩৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা কোম্পানিটির মোট তহবিলের ৫০ দশমিক ২২ শতাংশ।